শেখ হাসিনা ‘নদী ও নৌপথ’ নিয়ে ভেবেছে: নৌ-প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, একসময় নৌ ও রেল পথকে বাদ দিয়ে সড়কের জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। সাশ্রয়ী নৌ ও রেল পথের প্রতি সচেতন ছিল না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির ঘোষণা ছিল। এ লক্ষ্যে ৩৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান। আওয়ামী লীগ সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীর ওপর নেভিগেশনাল ছাড়পত্র ছাড়া ১৪টি লো-হাইটের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা এবং নৌকা ‘নদী ও নৌপথ’ নিয়ে ভেবেছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে নদী, প্রাণ-প্রকৃতি ও সমুদ্র সম্পদভিত্তিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন নোঙর ট্রাস্ট আয়োজিত ‘নদী আমাদের মা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালে লঞ্চডুবির ঘটনা দুর্ঘটনা নয়; এটা অবহেলা। আবহাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়নি। তৎকালীন সরকার নৌদুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অবহেলা করেছে। দেশের ক্ষেত্রেও অবহেলা করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের গল্প নয়; আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, গ্রেনেড হামলা, অস্ত্র পাচারের গল্প শুনিয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ক্ষমতায় থেকে বাংলার মানুষের প্রতি অবহেলা করেছে। বাংলার মানুষের ওপর রোলার চালিয়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেছে।
নোঙর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নদী গবেষক বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ, মেরিন হাইস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নৌস্থপতি শামসুল আলম, বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস এবং রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৩ মে চাঁদপুরের মেঘনায় ‘এমভি লাইটং সান’ নামে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ২০০৫ সাল থেকে নোঙর ট্রাস্ট ২৩ মে’কে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে।