শেখ হাসিনা এতদিন আমি-তুমি ড্যামির নির্বাচন করেছে : গিয়াস উদ্দিন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপির দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে কিন্তু গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি। জনগণ এখন তাদের ভোট প্রয়োগ করার ক্ষমতা তাদের কাছে পায়নি।জনগণ এখন তাদের ভোট প্রয়োগ করার ক্ষমতা তাদের কাছে পায়নি। যেই মানুষটি ছেলে ও মেয়ের বয়স ৩৫-৩৮ বছর তারা গত তিনটি নির্বাচনে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি। ফ্যাসিস শেখ হাসিনা দিনের ভোট রাতে করেছে, ভোটার বিহীন ভোট করেছে, এতদিন আমি-তুমি ড্যামির নির্বাচন করেছে। কোন একজন ভোটার এমনকি যুবক-যুবতীকে ভোট দেয়ার কোন সুযোগ দেয়নি। তাই এদেশের মানুষ নতুন আশায় বুক বেধে এখন স্বপ্ন দেখছেন কত দ্রুত তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ দিবেন। কাজেই মনে রাখবেন যারা আজকে অন্তর্বতিকালীন সরকারে রয়েছেন, আপনারা নির্বাচিত সরকার নন, আপনারা জনগণের ম্যান্ডেডে আজকের সরকার। কিন্তু ভাববেন না দীর্ঘদিন থেকে আপনাদেরকে কাজ করার সুযোগ এ দেশের মানুষ দিয়ে বসবে।আপনাদেরকে দ্রুত প্রয়োজনী সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের রোডম্যাপ অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে। যাতে মানুষ আস্থাশীল হয় এ সরকারের প্রতি। এ সরকারের ক্ষমতার লোভ নেই, এ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিবে এ আস্থা ও বিশ্বাস যাতে জগণের মধ্যে আসে দ্রুত সেই ব্যবস্থা করবেন সেই দাবিই জানাই।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর)  বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র উদ্যোগে সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজ, দখলদারিত্ব ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে এসে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দেন। এ সময় জনসভায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনের সঞ্চালয়নায় জনসভায় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, নারয়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. মন্টু মেম্বার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি এস, এম, আসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর জি. এম সাদরিল, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মুহাম্মদ কায়সার রিফাত, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মো. রওশন আলী, সহ-সভাপতি ডি. এইচ. বাবুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকবর হোসেনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, দেশের সর্ব বৃহত্তম রাজনৈতি দল হচ্ছে বিএনপি এবং দেশের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় দল হচ্ছে বিএনপি। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা, আমাদের পরম বর্তমান নেতা জনাব তারেক রহমান। তারা আজকে এ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমারদের প্রতি তাদের নির্দেশনা রয়েছে আমরা যাতে বিগত সরকারে মতো আরচণ না করি। অন্যায় কাজে জড়িত না হই, অন্যায়ভাবে কারো যেন কোন ক্ষতি না করি। তারপরও আপনারা আজকে দেশ ছাড়া, আপনারা পলাতক জীবন যাপন করছেন।

তিনি বলেন, আজকে মানুষ নতুন ভাবে দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখছে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধ্বংস করেছেন, প্রশাসনকে দলীয় করণ করেছেন, আইনের শাসন বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছেন, এমন কোন সেক্টর নাই যেটা ধ্বংস করেন নাই। আজকে আপনার পর কারা ক্ষমতায়, বিএনপি তো ক্ষমতায় নাই। অন্য কোন রাজনৈতিক দলও ক্ষমতায় নাই যে, আপনি ভাববেন আপনার শত্রুপক্ষ ক্ষমতায়। আপনারা আইনের হাতে নিজেদের সোপর্দ করেন, আপনাদের সাথে অন্যায় ভাবে কিছু করবে এমন কোন সুযোগ নাই। আন্দোলনের পর একটা সরকার সংগঠিত হয়েছে র্নিদলীয়। অন্তবর্তী কালীন সরকারে যারা আছে তারা কোন রাজনীতি করেনা। তারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষেও না বিপক্ষেও না। তাহলে এই সরকারের সময় আপনারা পালিয়ে গেলেন কেনো? আপনাদের পাপের বোঝা এতো ভারি যে, আপনারা নিজেরাই উপলব্ধি করেন আপনারা রক্ষা পাবেন না। তাই পালিয়ে গেছেন।