শেখ হাসিনার জনসভা: নৌকার আদলে ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের মঞ্চ

নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে নগরী: সিএমপি কমিশনার

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার মঞ্চ তৈরি হচ্ছে নৌকার আদলে।  ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই মঞ্চ চট্টগ্রামে আগের যে কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চের চেয়ে বড় বলে দাবি করা হচ্ছে।

সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজে নিয়োজিত শাহাবউদ্দিন ডেকোরেটার্সের মালিক ও ২১ নং জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শাহাবউদ্দিন।  তিনি বলেন, ৪ লাখ ৭৫ হাজার বর্গফুটের পলোগ্রাউন্ড মাঠ।  এ মাঠে ছয় ফুট উচ্চতা এবং ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সমাবেশস্থলের মঞ্চটি তৈরি করা হচ্ছে নৌকার আদলে।  যেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন।

শাহাবউদ্দিন জানান, নৌকাসহ মঞ্চটির দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট হলেও মূল মঞ্চটির দৈর্ঘ্য ৯০ ফুট ও প্রস্থ ৪০ ফুট।  যেখানে একসঙ্গে অন্তত ২০০ লোক বসতে পারবেন।  এছাড়া মঞ্চের পশ্চিম পাশে ভিআইপিদের জন্য এবং পূর্ব পাশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা করে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে।  আর মূল মঞ্চের সামনে ৯০ মিটার জায়গা খালি রেখে সামনে নারীদের বসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান শাহাবউদ্দিন।

আগামী ৪ ডিসেম্বর নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।  এই জনসভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো প্রচার-প্রচারণায় এখন ব্যস্ত।  পোস্টার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন অলিগলি ও মূল সড়কগুলোও। ‍

মাঠের বাইরে লাগানো হয়েছে মাইক। ছবি বাচ্চু বড়ুয়া

 

আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, তাদের সাংগঠনিক শক্তি বিবেচনায় পলোগ্রাউন্ড মাঠের আশ-পাশের অন্তত কয়েক কিলোমিটারজুড়ে তাদের জনসমাগম হবে।

জনসভার আগে-পরে নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর জনসভার জন্য পুরো চট্টগ্রাম নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে।  নগর পুলিশের ছয় হাজার ফোর্সের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও দেড় হাজার ফোর্স আনা হচ্ছে নগরীতে।

তিনি বলেন, অনেক বছর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসছেন, যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য বড় উৎসব।  পাশাপাশি সিকিউরিটি পয়েন্ট থেকে সিএমপি’র জন্য বড় আয়োজনের ব্যাপার।  সে ব্যাপারে আমদের প্রস্তুতি আছে।

সিএমপি কমিশনার জানান, এসএসএফ’র পরামর্শে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ নিয়োজিত হচ্ছে।  সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে প্রধানমন্ত্রীর সফরটি যাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে সম্পন্ন হয়।