শুল্কহার বাড়ায় প্রভাব পড়েছে দেশি ফলের বাজারেও

সামনে রমজান। ফলে বাজার স্থিতিশীল রাখতে চায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাই বিদেশি ফল আমদানি বন্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকারের মতে, বিদেশ থেকে আমদানি করা ড্রাগন, রাম্বুটান, অ্যাভোকাডো ও রকমেলন এর মতো দামি ফল সুপারশপ এবং অভিজাত এলাকার ফলের দোকানে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে দেশি ফলের বাজারে। পাশাপাশি আপেল, আঙ্গুর ও কমলার মতো বিদেশি ফলের দামও বাড়ছে।

একই সঙ্গে বিদেশি ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বিদ্যমান শুল্ক কাঠামো পরিবর্তন করা দরকার। তবে রমজানে প্রয়োজনীয় পাঁচটি ফল খেজুর, মাল্টা, আপেল, কমলা ও আঙ্গুর আমদানি করা প্রয়োজন।

ঋণপত্র খোলায় জটিলতা, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও শুল্ক বাড়ানোর কারণে বিদেশ থেকে ফল আমদানি কমে যাওয়ায় বাড়ছে দাম। বছরের ব্যবধানে কমলা, মাল্টা, আঙুর ও আপেলের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত।

চট্টগ্রাম বিআরটিসি ফলমন্ডির জিএস ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম উদ্দিন জানান, আগে চীনা কমলা আসতো কার্টনে প্লাস্টিক নেট দিয়ে জড়িয়ে। এখন আমাদের চাহিদা অনুসারে পাতাসহ কমলা আসছে বিশেষ প্যাকেজিংয়ে সবুজ পাতা মোড়ানো অবস্থায় ১৫ কেজির কার্টনে। কন্টেইনারে আছে তাপমাত্রা সংরক্ষণ ব্যবস্থা। চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১৫ দিন।