আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে কমবেশি সবার শরীরেই ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। ঠিক তেমনই এ সময় বাড়ে রক্তচাপের সমস্যাও। তাই তো হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য এই সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সময় সচেতন না হলেই বিপদ ঘটতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া উচিত।
শীতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কিছু কারণ আছে। যেমন- স্ট্রেস, পরিবেশ ও জেনেটিক কারণ। এসবের কারণেই মূলত হাইপার টেনশনের সমস্যা দেখা দেয়।
এদিকে শীতকালে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে রক্তনালিগুলো অর্থাৎ শিরা ও ধমনীও সংকুচিত হয়ে যায়।আর ধমনী সংকুচিত হয়ে গেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে ছোট জায়গায় মধ্য দিয়েই অনেকটা পরিমাণে রক্ত চলাচল করে, যে কারণেই রক্তচাপ বাড়ে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই এ সময় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতন না হলেই বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। শীতে দেহের স্নায়ুতন্ত্রের ‘সিমপ্যাথেটিক অ্যাক্টিভেশন’ বেড়ে যায়। তাই রক্তনালি সঙ্কুচিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘ভ্যাসোকনস্ট্রিকশন’। এভাবে ধমনীর মধ্যে দিয়ে সারা শরীরে রক্ত পৌঁছাতে বাড়ে হৃদপিণ্ডের উপর চাপও। এভাবে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্ট্রোক পর্যন্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তবে শুধু শীতেই নয়, সারা বছরই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সাবধান না হলে যে কোনো সময় হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায় কী?
১. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ শুধু ওষুধে নয়, শরীরচর্চার মাধ্যমে ঘাম ঝরানোও জরুরি। তবে শীতে অলসতা বাড়ে। আর শীতে আলসেমিতে শরীরচর্চা বন্ধ করে দিলে শরীরে জমতে থাকে মেদ। আর এই অতিরিক্ত মেদ জমার কারণেও বাড়তে পারে রক্তচাপ। তাই শীত হোক বা গরম, ঘাম ঝরাতেই হবে সারা বছর।
২. শীতে শরীর গরম রাখতে বেড়ে যায় চা ও কফি খাওয়ার প্রবণতা। তবে যাদের হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে দিনে দু’বারের বেশি কফি খাওয়া হতে পারে ক্ষতিকারক।
৩. হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা থাকলে নিয়মিত প্রেশার মাপা প্রয়োজন। বিশেষ করে শীতকালে দিনে একবার প্রেশার মাপলেও থাকা যাবে সচেতন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস