শীঘ্রই বাজারে চিনির দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী বলেন, এখন চিনির চাহিদার মাত্র ৬৬ ভাগ উৎপাদন করা যাচ্ছে, ঘাটতি থাকছে ৩৩ ভাগ। তবে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চিনির মজুদ ও সরবরাহে কোনো সমস্যা নেই। গ্যাসের জন্য চিনি উৎপাদন কম হয়েছিল, এ জন্য চিনির দাম বাড়াতে হয়েছে।
এ সময় তিনি জানান, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে। এতে চিনির দাম কমে যাবে। টিপু মুনশি বলেন, অনেক চিনি গুদামে পড়ে আছে, সেটি প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বাজারে আসবে। গ্যাসের সমস্যা সমাধান হলে এটি প্রসেস করা যাবে। যারা গ্যাসের বিষয়টি দেখে, তারা বলছেন পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে। বিদ্যুতের অবস্থা ইমপ্রুভ করবে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম কমলেও আমাদের বাজারে সে রকম প্রভাব পড়ছে না। এর অন্যতম কারণ ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। তবে গ্যাস সংকট অনেকটা কমে এসেছে। উৎপাদনের ওপর এর প্রভাব পড়বে। তাই কিছুদিনের মধ্যেই চিনিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমবে।
তিনি বলেন, এখন ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করার অনুমতি পাওয়া গেলেও জাহাজ ভাড়া না পাওয়ায় গম আনা যাচ্ছে না, যার প্রভাব পড়ছে গমের বাজারে। তবে রাশিয়া থেকে গম আসা শুরু হলে সংকট কেটে যাবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে তেলের দাম আবার সমন্বয় করা হবে। তবে সবকিছু মিলে মানুষকে এত চিন্তা করার কারণ নেই।’
মন্ত্রী বলেন, এটা সত্যি যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এই কষ্টের কারণ সরকারের চেয়ে বৈশ্বিক কারণটা বেশি দায়ী। বৈশ্বিক কারণ তো আমরা রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারব না।
সভায় চাল, চিনি, পেঁয়াজ, গম, আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের বর্তমান পরিস্থিতি এবং চিনির চাহিদা, উৎপাদন ও আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া দেশের উন্নয়ন যেন বাধা না পায়, সে জন্য সিমেন্টের উৎপাদন অব্যাহত রাখা এবং বাড়তি উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করার বিষয়ে আলোচনা হয়।