শিগগিরই র‌্যাবের ওপর থেকে উঠে যেতে পারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

সাংবাদিকদের জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শিগগিরই র‌্যাবের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

গতকাল রবিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার সঙ্গে আমাদের কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত মিটিং হয়েছে। আমার সঙ্গেও তার আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।  তাতে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা বন্ধ হোক সেটা তারা চায় না।  আমেরিকার সরকার বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দেখতে চায়।  তারা চায় এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।  কেউ যেন সহিংসতায় লিপ্ত না হয়।  এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, র‌্যাবকে আপনারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।  অথচ ২০০৪ সালে আপনারাই র‌্যাবকে ট্রেনিং ও অস্ত্র দিয়েছেন।  শুধু র‌্যাবকে নয়, পুলিশের অনেক বাহিনীকে তারা অস্ত্র দিয়েছেন।  তাদের ভালো কর্মদক্ষতার জন্য সব সময় প্রশংসা করেছেন।  আত্মরক্ষার জন্য এ বাহিনীকেও অস্ত্র হাতে নিতে হয়।  তবে প্রতিটি গুলির জন্য আমাদের একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে জানালে আমরা সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নিই।’

তিনি বলেন, ‘অতীতে আমরা কিভাবে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাস এগুলো মোকাবেলা করেছি- আমরা তাদের এটা বলেছি।  তারা এটার প্রশংসা করেছেন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের নির্বাচন বর্তমানে যে সংবিধান আছে- সে অনুযায়ী হবে।  নির্বাচনের ৯০ দিন আগেই আমাদের সব ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে যায়।  সরকারের সব কিছু তারা নিয়ন্ত্রণ করে।  আমরা মন্ত্রীরা শুধু অফিস ওয়ার্ক করি।  কাজেই আমি মনে করি, আমাদের পুলিশ বাহিনীসহ যারা নির্বাচন কাজে সব সময় থাকে, তারা প্রস্তুত আছে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে বিভিন্ন জনসভা করতে দিচ্ছি।  এ জন্য তারা আমাদের প্রশংসা করেছে।  তবে সমাবেশের নামে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, রাস্তায় ব্যারিকেড এসব বিষয় আমেরিকার সরকারও সমর্থন করে না।  আমরা যেভাবে এখন চলছি, সেটারও তারা প্রশংসা করেছে।’