লাখো হাজির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফার ময়দান। মঙ্গলবার (২৭ জুন) পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে তারা আরাফার ময়দানে উপস্থিত হন। এ দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা হলো সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা।
মসজিদ হারামাইন শরীফাইন (Haramain Sharifain) ফেসবুক পেজে ও সৌদির টিভি চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে হজের যাবতীয় কার্যক্রম।
মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে জীবনের সব গুনাহ মাফ করার আকুল আকাঙ্ক্ষায় ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেই আজ আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছেন তারা। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হলো সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই ময়দানেই অবস্থান করা।
মিনা থেকে আরাফাতের ১৪ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ বাস। অনেকেই গিয়েছেন পায়ে হেটে। হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ হাজিদেরও কিছু সময়ের জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে করে এখানে আনা হবে।
হাজিদের মুখে ধ্বনিত হচ্ছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’অর্থ- আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো অংশীদার নেই। আমি হাজির। সব প্রশংসা ও অনুগ্রহ শুধুই তোমার। সব রাজত্ব তোমার।
এখানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন খতিব। এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেবেন শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ। একই সঙ্গে মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন তিনি।
এ বছর হজের আরবি খুতবা বাংলাসহ মোট ২০টির বেশি শোনা যাবে। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। তারা সবাই মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
হাজিরা আজ আরাফার ময়দানে জোহর ও আসর নামাজ একসাথে পড়বেন। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া-মোনাজাতে মগ্ন থাকবেন। সূর্যাস্তের পর সবাই মুজদালিফার উদ্দেশে গমন করবেন। সেখানে একসাথে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে রাত্রিযাপন করবেন। মুজদালিফা থেকে তিন জামারার জন্য তারা পাথর সংগ্রহ করবেন।
পরদিন মিনায় বড় জামারায় গিয়ে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর কোরবানি করে মাথার চুল ছোট বা মুণ্ডন করবেন। তখন ইহরামের কাপড় বদলে স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সায়ি (সাতবার দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। মিনা থেকে তারা তিন দিন (বড়, মধ্যম, ছোট) ২১টি করে ৬৩টিসহ মোট ৭০টি পাথর জামারায় নিক্ষেপ করবেন। এরপর মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
এমএইচএফ