র‌্যাব এখন জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে

সিরাজগঞ্জে ৩১৫ চরমপন্থির আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সব মামলা পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রবিবার (২১ মে ) সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় র‌্যাব-১২ সদর দপ্তরে আয়োজিত ৩১৫ চরমপন্থির আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চলনবিলসহ আশপাশের অঞ্চলগুলো দুর্গম থাকায় চরমপন্থিরা এ অঞ্চলে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করে। আদর্শিক দ্বন্দ্ব কিংবা আর্থিক ভাগাভাগির ফলে সংগঠনগুলো ক্রমাগত বিভেদ সৃষ্টি হয়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে দল-উপদলে বিভক্ত হয়। তবে তাদের কর্মকান্ড ছিল একই রকম।

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে সন্ত্রাসী পেশা ছাড়ুন আলোকিত জীবন গড়ুন- এ শ্লোগান সামনে রেখে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাস দমন ও চরমপন্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।

র‌্যাবের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র‌্যাব এখন জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে। যেখানে যেখানে জঙ্গি-চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থান সেখানে র‌্যাবের নিরলস প্রচেষ্টায় আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। আমরা র‌্যাবকে সব ধরনের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাদের যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়েছি। কেউ যদি বলেন, দুর্গম চরাঞ্চলে বসে থাকবেন আর আমরা আপনাদের ধরতে পারবো না, তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। স্বাভাবিক জীবন সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য প্রয়োজন। বিষয়টি উপলব্দি করার মাধ্যমে বিপথগামী চরমপন্থি গোষ্ঠীকে সঠিক-সুন্দর পথে ফিরিয়ে আনতে র‌্যাব যে কাজ করেছে তা প্রশংসনীয়।

র‌্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দের- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ মহা-পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, র‌্যাব-১২ অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মারুফ হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, আত্মসমর্পণকারী দলের কয়েক সদস্য ও তাদের স্বজনরা। এ সময় অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, তানভীর শাকিল জয় এমপি, ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২১৯টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয় অস্ত্র সমর্পন করে সর্বহারা সন্ত্রাসীরা।