রূপগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর সহ আহত ৮

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পোস্টার লাগানো কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকজন নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইছাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহমেদের লোকজন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বাবুলের লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। পরে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বাবুলের নেতৃত্বে একটি দল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আলী আহমেদের একটি বাইকে আগুন দেয় ও তার মালিকানাধীন একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর চালায়।

পরে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসানের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর লুটপাট চালায়। হামলাকারীরা তার বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাই শুক্রবার রাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহমেদের লোকজন ইছাখালী এলাকায় বাজারে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এতে প্রতিবাদ জানালে তারা আমার বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট চালায়।তিনি বলেন, তারা আমার বাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকার লুটপাট চালায়। মালামাল ভাঙচুর করে এতে প্রায় ৮-১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আলী আহমেদ বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব বাবুল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামাল নাসেরের নেতৃত্বে আমার একটি বাইক আগুনে পুড়ে দেয়।

তিনি বলেন, তারা আমার মালিকানাধীন একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমার লোকজনকে আহত করেছে। আমি বাড়িতে না থাকায় বলতে পারছি না কে কে আহত হয়েছেন। বাড়িতে গিয়ে বলতে পারব কে কে আহত হয়েছেন।

রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জুবায়ের হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।