রাশিয়ার একাধিক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার দাবি ইউক্রেনের

ইউক্রেন বলেছে, তাদের সেনাবাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে আরও অগ্রসর হওয়ার পাশাপাশি চারটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে দূর পাল্লার ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিনহুয়া নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার টেলিগ্রামে ইউক্রেনীয় জেনারেল স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ভোরোনেজ, কুরস্ক এবং নিঝনি নভগোরোড অঞ্চলে ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল জ্বালানি ও অস্ত্রের গুদাম।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেছেন, ‘বুধবার দিনের শুরুতে কুরস্কের বিভিন্ন এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনী আরও এক থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।’

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলছে, আনুমানিক ১২ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তারা সীমান্ত এলাকায় একটি কৌশলগত বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কুরস্কে ১ হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি দখলকৃত এলাকায় ‘প্রয়োজন হলে’ একটি সামরিক কমান্ড্যান্টের অফিস স্থাপন করা হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতিমধ্যে কুরস্কে ইউক্রেনের আক্রমণকে ‘বড় ধরনের উস্কানি’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নির্বিচারে বেসামরিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ এনেছেন। ইউক্রেনকে সমুচিত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের ছয়টি হামলা সফলভাবে প্রতিহত করেছে। এছাড়াও কুরস্কসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ইউক্রেনের উৎক্ষেপণ করা ১১৭টি ড্রোন এবং চারটি কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার দাবি করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইউক্রেন কুরস্ক অভিযানে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৩০০ সৈন্য এবং ৩৭টি ট্যাংক হারিয়েছে।

রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, তারা কুরস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে। এটি সংঘাতের অঞ্চল থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।