রায়গঞ্জে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

 

 

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নবান্নের উৎসব কাটতে না কাটতেই কৃষকেরা ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের কৃষকেরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রীড ও কাটারী জাতের ধান বীজ সহ বিভিন্ন জাতের ধান ক্রয় করে বীজ বপনের জন্য বীজতলা তৈরি করছে। আবার অনেকে বীজ তলার জমিতে নানা ধরনের বীজ ফেলে পরিচর্যাও শুরু করছে।

উপজেলার সরাই দেহ, ধানগড়া, চান্দাইকোনা, পাঙ্গাসী, কালিপুর, দওকুশা,কুমাজপুর, কামারপাড়া,নলছিয়া গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। লক্ষিবিষ্ণু প্রসাদ গ্রামের কৃষক আমানউল্লাহ, সরাই হাজীপুর গ্রামের আব্দুল বারিক খান জানান, শ্রমিকের মজুরি, সার ও ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় আগামী বোরো মৌসুমে কৃষকেরা শঙ্কায় আছেন।

অপরদিকে নলকা ইউনিয়নের রাজু, ধুবিলের আকতার ও ঘুড়কা ইউনিয়নের আবু বক্কর  জানান, আগামী ইরি মৌসুমে জমিতে হালচাষ করে সময়মত ধান রোপন, সার ও কীটনাশক  এবং সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে ইরি ধানের আবাদ ভালো হবে। এবারে  মাঝরা পোকার আক্রমণে আমন আবাদে আমরা আশানুরূপ ফলন পাইনি। তাই সেটা পুষিয়ে নিতে ইরি বোরো যাতে ভালোভাবে চাষ করতে পারি সে লক্ষ্যে একটু আগাম প্রস্তুুতি নিচ্ছি।

তারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে গতবারের চেয়ে এবারে  প্রতি বিঘায় ইরি-বোরো ধান চাষে, হাল, রোপন, নিড়ানি, সার, কীটনাশক, সেচমূল্যসহ ধান কাটার জন্য বাড়তি ৫ হাজার টাকা খরচ গুনতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রান্তিক কৃষকদের সাথে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছে। আর চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার ৪শত ৩০হেক্টর জমিতে ইরি বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।