রসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ইভিএমে ত্রুটি, ভোট দিতে পারলেন না জাপার মোস্তফা

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।  মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটায় ২২৯টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৪৯টি কক্ষে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়।  ভোট চলবে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।  ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

ভোটগ্রহণ সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  এজন্য ১,৮০৭টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর এবার তৃতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  এই নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২২৯ জন এবং সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১ হাজার ৩৪৯ জন।  এছাড়া দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার রয়েছেন।

এই সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।  ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন।  এর মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৬ জন, পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৩০৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।

নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬৮ জনসহ সর্বমোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  এরমধ্যে ৩০নং ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার নিয়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।  পুলিশ, আনসার ও ভিডিপির সমন্বয়ে সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জনের এবং ঝুঁকিপূর্ণ ৮৬টি কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।  সেই সঙ্গে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩৩টি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৪৯ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, ইভিএমে ত্রুটির কারণে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।  সকাল ৯টায় নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের আলমনগর কলেজ রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান মোস্তফা।

ভোটকক্ষে দশ মিনিট অবস্থানের পর বাইরে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সাবেক এই মেয়র।

মোস্তফা বলেন, আমরা আগেই আশঙ্কা করছিলাম এই ইভিএম নিয়ে।  অবশেষে সেটাই সত্য হলো।  ভোট দিতে গিয়ে ইভিএম বিকল হয়ে পড়ে।  এ কারণে ভোট দেয়া সম্ভব হয়নি।  বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।  তারা টেকনিশিয়ান ডেকে মেরামতের কথা জানিয়েছেন।