মেঘের এক অপরূপ সৌন্দর্যের স্থান হলো বান্দরবান। যেখানে বছরের সবসময়ই কম-বেশি পর্যটক থাকে। কিন্তু পবিত্র রমজানের শুরু থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবান।
শনিবার (১৬ মার্চ) ছুটির দিন হওয়ার পরও পুরো বান্দরবানের পর্যটন স্পষ্টগুলো ছিল ফাঁকা। নামে-মাত্র কয়েকজন পর্যটককে দেখা যায় বিভিন্ন ভ্রমণ স্পটগুলোতে।
বান্দরবানের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নীলাচল-মেঘলা-শৈলপ্রপাত-প্রান্তিকলেক পর্যটক শূন্য। তবে গত কয়েক মাস ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল এই ভ্রমণ স্পটগুলো।
ফানুস রিসোর্টের মালিক মো. ইমরান উদ্দীন বাবু জানান, স্বাভাবিকভাবে রমজান মাসে পর্যটক তেমন থাকে না। এবার পর্যটক শূন্যতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে সব ধরনের হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউসে বুকিং শূন্য রয়েছে। শুধু হোটেল-রেস্টুরেন্ট নয়, রমজানের কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোও বন্ধ রয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বিশাল সম্ভাবনাময় মেঘের রাজ্য ক্ষেত্র বান্দরবান। তবে ঈদের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটবে এই প্রত্যাশা পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পিতি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, গত কয়েক মাস ধরে একটানা পর্যটকদের আনাগোনা ছিল। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই ফাঁকা বান্দরবান। আমাদের বেচা বিক্রি নাই, রমজানের আগে যেখানে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা বিক্রি করতাম, এখন ১০০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করতেই কষ্ট হয়। পরিবার নিয়ে চলতেও কষ্ট হচ্ছে।
বান্দরবান জীপ-মাইক্রোবাস চালক সমিতির লাইনম্যান মো. কামাল জানান সপ্তাহ খানেক আগেও যেখানে দৈনিক ১৫০-২০০ টি পর্যটকবাহী জীপ স্টেশন ছেড়ে যেতো সেখানে রমজানের শুরু থেকে বর্তমানে দৈনিক মাত্র ৫-৬টি গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে।
বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোনের ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ জানান, পর্যটন মৌসুম শেষ ও পবিত্র রমজানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আগের তুলনায় পর্যটক কম বান্দরবানে। তবে ঈদের পরে আবারও পর্যটকে ভরপুর হয়ে যাবে। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সব পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। আগত পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।