বিমানে ভ্রমণের সময় যাত্রীরা প্রতিদিনই একটি অজুহাত শুনে থাকেন। ‘দয়া করে আপনার মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য ফ্লাইট মোডে রাখুন’। তবে এই ফ্লাইট মোড কেন ব্যবহার করতে হয় তা অনেকেরই অজানা।
ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)-র দাবি সেলফোন বা ওই ধরনের ডিভাইসগুলির রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বিমানের নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই কারণে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বিমান উড়ানের সময় এবং অবতরণের সময় কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে নিষেধ করে।
উল্লেখ্য, দুটো বিমান দুর্ঘটনার পেছনে মোবাইল ফোন রয়েছে। ২০০০ সালে সুইজারল্যান্ডে ক্রোসাইর প্লেন ক্র্যাশের ঘটনা একটি। মোবাইলের ট্রান্সমিশন বিমানের অটোপাইলটকে এলোমেলো করে দেয়। আরেকটি ২০০৩ সালে নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টক্রাঞ্চের বিমান দুর্ঘটনা।
একটি ব্লগে এক পাইলট লিখেছেন, একবার তার হেডসেটে একটি সিগনাল বার বার আসছিল। এটা হচ্ছিল কারো মোবাইল ফোনের কারণে। এটা দুর্ঘটনা ঘটার মতো নয়। তবে যথেষ্ট বিরক্তিকর। যদি ৫০ জন যাত্রীর মোবাইল এভাবে সমস্যার সৃষ্টি করে, তবে সত্যিকার অর্থে বিমানের রেডিও দূষণ দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
ফ্লাইট মোড সাময়িকভাবে ফোন বা ল্যাপটপের ডেটা ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারের সিগন্যালগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অর্থাৎ ডিভাইসে কোনও ডেটা পাঠানো বা গ্রহণ করা যায় না। ফলে ব্যবহারকারী কোনও কল করতে, টেক্সট মেসেজ করতে বা মেল পাঠাতেও পারবেন না।
বিমান চলাচলে বাড়তি ঝুঁকি এড়াতে মোবাইল ফোন ফ্লাইট মোডে রাখার অনুরোধ করা হয়। বিমান চলাচল, গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে পাইলটের কিংবা এক বিমানের পাইলটের সঙ্গে অন্য বিমানে পাইলটের যোগাযোগ ব্যবস্থা রেডিও সেবার ওপর নির্ভরশীল। ১৯২০ এর দশক থেকেই নিরাপদ বিমান চলাচলের জন্য এই রেডিও যোগাযোগের মান ধারাবাহিকভাবে বাড়ানো হয়েছে।