যে কারণে আত্মহত্যা করলেন বলিউড অভিনেত্রী তুনিশা

বলিউড অভিনেত্রী তুনিশা শর্মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেয়ার অভিযোগে তার ‘বয়ফ্রেন্ড’ শীজান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শীজানের বিরুদ্ধে তুনিশাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ এনেছেন তার মা। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ভারতের মুম্বাই পুলিশের কাছে এ প্রসঙ্গে অভিযোগ দায়ের করেন তুনিশার মা। শিজান তুনিশার সহশিল্পী।

শনিবার শুটিং সেটে তরুণ তুনিশাকে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান সহশিল্পীরা। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মারা গেছেন তুনিশা।

মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার লিখিত অভিযোগ করার পরে পুলিশ তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপরেই পরের দিন খবর আসে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই তুনিশার মা অভিযোগ করেছিলেন, তুনিশার সম্প্রতি প্রেম ভেঙেছে। এই কারণেও মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, তুনিশা প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়েছিলেন। এরপর শিজানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে দুজনের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। পরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তুনিশা।

এই প্রসঙ্গে শীজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার পরেই আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পুলিশ বলছে, ঘটনার সময় শুটিংয়ের সেটে উপস্থিত কলাকুশলীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তুনিশা। ‘ভারত কা বীর পুত্র: মহারানা প্রতাপ’ সিরিয়াল দিয়ে শুরু হয় তার অভিনয়। ‘আলিবাবা: দাস্তান-ই-কাবুল’-এ রাজকুমারী মরিয়মের ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন তিনি।

শুধু টেলিভিশন সিরিয়ালে নয় ‘ফিতুর’, ‘বার বার দেখ’, ‘কাহানি ২’, ‘দুর্গা রানি সিংহ’, ‘দাবাং ৩’-এর মতো ছবিতেও তুনিশাকে দেখা গিয়েছিল। ‘ফিতুর’ ও ‘বার বার দেখ’ ছবিতে ক্যাটরিনা কাইফের শৈশবের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।