যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হলেন পাপন

খেলা

গতকাল ঘোষিত হয়েছিল নতুন সরকারের মন্ত্রীদের নাম। বিসিবি সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এমপি নাজমুল হোসেন পাপনের নাম পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পরপরই ক্রীড়াঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন পাপন।

পাপনের ঘনিষ্ঠ সূত্র এবং বিসিবি’র অনেকের মাধ্যমে শোনা গিয়েছিল, পাপন পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্বে নিতে পারেন। গতকাল থেকে এই আলোচনা থাকলেও সকাল থেকে শোনা যাচ্ছিল নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সাধারণত প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পাপন পূর্ণ মন্ত্রী এ নিয়ে খানিকটা দ্বিধা ছিল। তবে সকল জল্পনা-কল্পনা কাটিয়ে নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। যা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো ঘটল। এতে বিস্মিত ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই।

ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকাদের মধ্যে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রথম দায়িত্ব পান সাদেক হোসেন খোকা। তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ঢাকা মহানগরী ফুটবল কমিটির কর্মকর্তা ছিলেন। সাদেক হোসেন খোকার পর ক্রীড়াঙ্গন থেকে দ্বিতীয় মন্ত্রী ছিলেন আরিফ খান জয়। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হন। এরপর আহাদ আলী সরকার, বিরেণ শিকদার ও জাহিদ আহসান রাসেল প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়াই।

নাজমুল হাসান পাপন আবাহনী ক্লাবের পরিচালক, বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে এক দশকের বেশি সময়। রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে তিনি গত এক দশকে ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম নীতি-নির্ধারক ছিলেন।