যশোরের চৌগাছায় ইসমত আরা (২৮) নামে দুই সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইসমতের শ্বশুর আনিছুর রহমানকে (৬০) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যার দিকে চৌগাছার পাতিবিলা ইউনিয়নের মুক্তদহ গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি প্রকাশ পায় রাত ১১টার দিকে। পরে পুলিশ গভীর রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং শ্বশুরকে আটক ও স্বামী মজনুর রহমান ও শাশুড়ি হালিমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
শনিবার (১ জুলাই) দুপুর ২টা নাগাদ চৌগাছা থানায় ও ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ইন্সপেক্টর জেল্লাল হোসেন।
তিনি বলেন, বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় শ্বশুরের সঙ্গে পুত্রবধূর বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। গলায় দাগ ছিল। এ ঘটনায় শ্বশুরকে আটক ও স্বামী শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তবে, নিহতের ভাবি ঝর্ণা বেগমের দাবি, তার ননদকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে শ্বশুর। নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত ইসমত আরার দুটি ছেলে আছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তার স্বামী মজনু দুই ছেলে ও মা হালিমাকে নিয়ে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের মাড়ুয়া গ্রামের মায়ের বাবার বাড়িতে (নিহতের নানা শ্বশুর বাড়ি) একটি অনুষ্ঠানে যান। তখন বাড়িতে পুত্রবধূ ইসমত আরা ও শ্বশুর আনিছুর রহমান ছিলেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারে বাড়িতে এসে ডাকতে থাকেন। তবে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে মজনু নিজের শোয়ার ঘরের সামনে গেলে ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখতে পান। দরজা খুলে নিজের স্ত্রীর লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে পরিবারের অন্যরাসহ প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে আসেন। নিহতের শ্বশুর তখন এশার নামাজ পড়তে মসজিদে ছিলেন। লাশের সুরতহাল তৈরির সময় পুলিশ গলায় নখের আঁচড়, গলার মাঝখানে কালো দাগ দেখতে পান।
এক প্রশ্নের জবাবে চৌগাছা থানার ইন্সপেক্টর জেল্লাল হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি না তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।