ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ৬ জনই মুক্তি পাচ্ছেন। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) তাদেরকে মুক্তির নির্দেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
মুক্তির নির্দেশের তালিকায় রয়েছেন নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার।
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে রাজীব গান্ধী নিহত হন। পরে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিইর ধানু নামে এক নারী আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিলেন। এ ঘটনায় সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন দেশটির আদালত। প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনও যায়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে দেরি হওয়ায় ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ডের রায় বদলে যাবজ্জীবন হয়।
২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর সাবেক এডিএমকে মন্ত্রিসভা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত তামিলনাড়ুর সাবেক রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে গেলে তা তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠান।
রাজ্যপাল এ বিষয়ে সিলমোহর না দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পেরারিভালন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তার মুক্তির পর নলিনী এবং রবিচন্দ্রন মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন জানান।
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার আরেক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে চলতি বছরের মে মাসে মুক্তি দেন সুপ্রিম কোর্ট। নলিনীরা ২৩ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন।