বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। ৮টি শর্তে দলটিকে এই সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
সমাবেশের আগের দিনই যেন মিছিল আর স্লোগানের নগরীতে পরিণত হয় নগরী।
এদিকে, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে অটোরিকশা বা ছোট বাহনে গন্তব্যে পৌঁছেছে যাত্রীরা। এজন্য বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে তাদের। ট্রেনেও চাপ বেড়েছে। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে হঠাৎ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার ধর্মঘট শুরু হয়।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বিএনপির এই সমাবেশ ঠেকাতে সরকার নানা কৌশল করেছে। পরিবহন ধর্মঘট করেছে। এতকিছুর পরও মানুষকে আটকানো যায়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু জানান, পুলিশি বাধা ও হয়রানি উপেক্ষা করে কয়েক লাখ নেতাকর্মী রাজশাহী শহরে ঢুকেছে। অনেকে রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের পাশে ঈদগাহ মাঠে আশ্রয় নিয়েছে। তাঁবু টানানোর ব্যবস্থায় প্রথমদিকে পুলিশি বাধার কারণে অনেক নেতা-কর্মীকে রাতে খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হয়েছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, সমাবেশ ঘিরে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। তবে হয়রানির অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই রাজশাহীতে পৌঁছান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।