মালিতে বন্ধ হলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন

ডিসেম্বরেই ফিরছে ১৬৭৯ বাংলাদেশি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি থেকে শান্তিরক্ষা মিশন গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। শনিবার দেশটি থেকে প্রায় ১২ বছর ধরে চলতে থাকা মিশন গুটিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হওয়ার কথা।

মালির জান্তা সরকার বিদেশি সৈন্য তুলে নেয়ার দাবি জানানোর পর নিরাপত্তা পরিষদ গত শুক্রবার নিরঙ্কুশ ভোটে শান্তিরক্ষা মিশন বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঢাকায় জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, শান্তিরক্ষা বাহিনী যে দেশে কাজ করে, সেই দেশের সরকারের সম্মতি ও অনুমোদনের বাধ্য-বাধকতা আছে। এ কারণে মালিতে শান্তিরক্ষা মিশন রাখার কোনো সুযোগ নেই।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালিতে বাংলাদেশের ১ হাজার ৩৯৬ জন সৈন্য ও ২৮৩ জন পুলিশসহ ১৫ দেশের ১৫ হাজার ২০৯ জন সৈন্য ও পুলিশ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন রয়েছে। বেসামরিক কর্মীসহ সব মিলিয়ে মোতায়েন আছে ১৬ হাজার ৭৯ জন।

জাতিসংঘ মহাসচিবকে উদ্ধৃত করে তার উপ-মুখপাত্র ফারহান হকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মালি শান্তিরক্ষা মিশন প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, মালিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ১৩ হাজার কর্মকর্তা ও সেনাসদস্য ‘মিনউসমা’ নামের একটি মিশনে কর্মরত ছিল। এ মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ জনগণকে বিদ্রোহী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো থেকে নিরাপত্তা দেওয়া। ফলে আকস্মিকভাবে জাতিসঙ্ঘের বাহিনী বিদায় নিলে দেশটির সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের একাংশ।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ‘মিনউসমা’ মিশনের এই আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত সমাপ্তির জন্য সরাসরি রাশিয়ান আলোচিত ভাড়াটে যোদ্ধা বাহিনী পিএনসি ওয়াগনারকে দায়ী করেছে।

মালির সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্র ও সামরিক উপকরণ যথেষ্ট পরিমাণে নেই। ২০২১ সালে রাশিয়াভিত্তিক বেসরকারি যোদ্ধা কোম্পানি পিএনসি ওয়াগনারের সঙ্গে চুক্তি করে দেশটির সরকার। সেই থেকে ওয়াগনার গ্রুপের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা মালির কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। এই দুই অঞ্চলেই ইসলামিই ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেশি।

এমএইচএফ