বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাই পেমেন্ট সিস্টেম ‘আইভাস’ চালু হওয়ার পর থেকেই বাড়তে থাকে দীর্ঘদিনের এক সমস্যা মাইলেজ জটিলতা। এবার মাইলেজ জটিলতা নিরসন না হলে অতিরিক্ত ডিউটি বন্ধ করা ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। এরপর সকাল ১১টায় রানিং স্টাফদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ স¤পাদক মো. মজিবুর রহমান।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পার্ট অব পে রানিং এলাউন্সের উপর অর্থ মন্ত্রনালয়ের সকল অসম্মতি পত্র বাতিল করা না হলে ১ নভেম্বর থেকে রানিং স্টাফগণ আট ঘন্টার অতিরিক্ত কোনো ডিউটি করবেন না বলে জানান প্রধান অতিথি মজিবুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের মাইলেজ জটিলতার কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই। দাবি পূরণ না হলে কোন এসএলএম-এলএম আন্ডার রেস্টে ডিউটি করবে না।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন লোকো রানিং স্টাফ, গার্ডসহ টিটিই নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন, ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এএলএমদের বৈষম্য দূর করা না হলে তারা আট ঘন্টার অতিরিক্ত ডিউটি এবং হেড কোয়ার্টারের বাহিরে ডিউটি করবেন না।
এর ফলে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন হলে কর্তৃপক্ষই দায়ী থাকবেন।
প্রসঙ্গত, রেল সৃষ্টির শুরু থেকে রেলওয়ে রানিং স্টাফগণ পার্ট অব পে রানিং এলাউন্স পাচ্ছেন। ২০২১ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারী করা এক চিঠিকে রানিং স্টাফদের রানিং এলাউন্স খর্ব এবং বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে রানিং স্টাফদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।
এছাড়াও অসম্মতি বহাল রাখায় ক্ষুব্ধ রানিং স্টাফগণ ২০২২ সালে সারাদেশে একযোগে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন। ঐ দিন রেল মন্ত্রী, রেল সচিব ও রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ কমলাপুর রেল স্টেশনে রানিং স্টাফদের সমাবেশে ঘোষণা করেন রানিং এলাউন্স পূর্বের মতো বহাল থাকবে।
তবে এই জটিলতা এখনো সমাধান করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ।