ময়মনসিংহের নান্দাইলে আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এ অভিযোগ করছেন। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকও অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জানা গেছে, আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়।১১৫০ নম্বরের এই পরীক্ষায় ফি বাবদ ৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এ ফি নেওয়ায় অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, ‘ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুটি পরীক্ষা হয়। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্যালয়ে মডেল টেস্টের নাম করে অতিরিক্ত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই পরীক্ষায় ৩৮জন ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ১৫ হাজার ২০০ টাকা প্রধান শিক্ষক হাতিয়ে নিয়েছেন। আমাদের বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গরিব। অনেকের এই টাকা দিতে কষ্ট হয়েছে।’ এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ’র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটি ও স্কুলের শিক্ষকদের সিদ্ধান্তে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের এই মডেল টেস্ট পরীক্ষা নিয়েছিলাম। আমি পরীক্ষার ফির কোনও অর্থ আত্মসাৎ করিনি।’ এ বিষয়ে আমি কারো কাছে কোন কৈফত দিতে রাজি নই!আমি আপনাদেরকেও এর কোন উত্তর দিব না।গত ১০ বছরের মধ্যে এই আমার একটা ভুল হয়েছে। তাও আর কি তেমন কোন ভুল না এটা। তিনি আরো বলেন, যদি ইউএনও স্যার বলেন তাহলে আমি টাকা ফেরত দিয়ে দিব ছাত্রদের হাতে। আমি কোন অন্যায় করিনি। তবে ইউএনও স্যার আমাকে ডেকেছিল আমি মৌখিক ভাবে উত্তর দিয়ে এসেছি।এই বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার স্কুল ভিজিট করে গিয়েছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘এ ধরনের মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার সরকারি কোনও বিধান নেই।’ এ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।