ভারি বর্ষণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে কাপ্তাইয়ে

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তী ভারী বর্ষণে দেশের বৃহত্তম রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি কিছুটা বেড়েছে। যার ফলে পানির উপর নির্ভরশীল দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে পানির অভাবে মাত্র ১টি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হলেও বর্তমানে ২টি ইউনিট একসাথে চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর সর্বনিন্ম পর্যায়ে নেমে আসায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে শুধুমাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে দৈনিক মাত্র ২৫ থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হতো। তবে সর্বশেষ শুক্রবার (৩০ মে) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ২টি ইউনিট চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে ১নং ইউনিট হতে ৩০ মেগাওয়াট এবং ২নং ইউনিট হতে ২৫ মেগাওয়াট সহ সর্বমোট ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরো বাড়বে। তবে হ্রদে পানি বাড়ার জন্য আরো ভারী বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন।

এদিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানি থাকার কথা ৭৬.৪০ এমএসএল (মীনস সি লেভেল), কিন্তু আছে ৭৮.৫৫ এমএসএল (গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত)। অর্থাৎ বর্তমানে প্রায় ১.৭৫ এমএসএল পানি বেশি রয়েছে। যদিও কাপ্তাই লেকে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল।

প্রসঙ্গত, দেশে সবচেয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয় একমাত্র কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। যেখানে ৫টি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২ শত ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।