গেল রোজার ঈদের পর থেকে হঠাৎ বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। তখন বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকায় দেশির দাম উঠেছিল প্রতিকেজি ১০০ টাকার ওপরে।
এ দেশি পেঁয়াজের দাম কমাতে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় এ ভেবে যে, দেশি পেঁয়াজের দাম কমবে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম প্রতিপাল্লা (৫ কেজি) ১৮০ টাকা, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
যদিও ক্রেতারা অভিযোগ তুলছেন, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ খুবই নিম্নমানের এবং বেশির ভাগই দুর্গন্ধযুক্ত। তাই দাম বেশি হলেও দেশি পেঁয়াজের প্রতি এসব ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি।
আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের বাড়তি দাম রাখছেন। ফলে আমদানির পরও বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম খুব একটা কমেনি। খুচরায় ভালো মানের প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
বর্তমানে পাইকারি বাজারে রাজশাহীর তাহেরপুর থেকে আসা ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিপাল্লা (৫ কেজি) ৩৮০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিকেজি পাইকারিতেই দাম পড়ে ৭৬ টাকা। রাজশাহীর এ দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা প্রতিকেজি। আর এ পেঁয়াজটাই পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায়।
আর রাজশাহীর তাহেরপুর থেকে আসা ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, যা পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৬ টাকায়। ফরিদপুর ও পাবনা থেকে আসা দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকায়। যার আকার কিছুটা বড় রাজশাহীর পেঁয়াজের তুলনায়। তবে বাজারে বর্তমানে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ আসছে রাজশাহীর তাহেরপুর থেকে এমনটাই জানিয়েছেন বেশির ভাগ পাইকারি বিক্রেতারা।
যদিও দেশি পেঁয়াজের তুলনায় বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কম। কিন্তু দাম কম হলেও এ আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না।