বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব এবং বিপ্লব-পরবর্তী সংখ্যালঘুদের প্রতি কথিত বৈরী আচরণ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর বয়ান রয়েছে, সে বিষয়ে ভারত সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি দু’দেশের মধ্যকার ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) উপলক্ষে একদিনের সফরে আজ সকালে বাংলাদেশে এসেছেন। আমি ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি দ ‘দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত এফওসি এ নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দিয়েছি। আলোচনার পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের বিদ্যমান সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
সচিব বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এ পরিপ্রেক্ষিতে কনসালটেশনে উভয় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক সামনের দিনে আরও এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। কনসালটেশনে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আমরা বলেছি, আমাদের নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশ ভারত। আমরা দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করি। এ লক্ষ্যে আমরা একযোগে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছি। আমি দু’দেশের সাধারণ জনগণের ভেতর আস্থা ও বিশ্বাস বিনির্মাণের গুরুত্বের বিষয়ে জোর দিই এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা রোধে ভারতের সক্রিয় ভূমিকা আশা করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চা করে আসছে। এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি ও অপপ্রচারের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সরেজমিনে বাস্তব অবস্থা দেখার ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিদেশি সাংবাদিকদেরও আহ্বান জানিয়েছে। আমরা এও বলেছি, এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এ নিয়ে অন্য দেশের মন্তব্য সমীচীন নয়। বাংলাদেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে, অন্যদেরও একই ধরনের শ্রদ্ধাবোধ আমাদের প্রতি দেখানো উচিত।