ভাতিজার সাথে পালাল চাচি, প্রবাসে পাগলপ্রায় চাচা

মৌলভীবাজারে প্রবাসীর কষ্টার্জিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে ভাতিজার হাত ধরে ঘর ছাড়লেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা জুড়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামে। স্ত্রীর এমন প্রতারণায় পাগলপ্রায় ওই প্রবাসী। এই ঘটনায় একটি জিডিও (জিডি নং- ৭৬৭) হয়েছে কুলাউড়া থানায়।

জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর পূর্বে রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামের মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে আনোয়ার আলীর সাথে পার্শ্ববর্তী উপজেলা জুড়ির জায়ফরনগর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ফখরু মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের দুইমাস পরেই পরিবারের হাল ধরতে মধ্যপ্রাচ্যে যায় স্বামী আনোয়ার আলী।

এরই সুবাধে পাশের বাড়ির ভাতিজা মৃত রহমত উল্লাহের ছেলে ইমন আহমদ পায়েল (২১) এর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার। দীর্ঘ প্রেম প্রনয়ণ শেষে গত ১৩ আগষ্ট গভীর রাতে ভাতিজা ইমনের হাত ধরে ঘর ছাড়েন প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার।

এদিকে এ ঘটনার পর পুরো গ্রাম জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রবাসে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছেন প্রবাসী আনোয়ার। প্রবাসীর পক্ষে ছোট ভাই আইয়ুব আলী বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

মুঠোফোনে প্রবাসী আনোয়ার বলেন, একদিন আগেও আমি ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। এর আগে প্রায় গচ্ছিত আড়াই লক্ষ টাকা নগদ ঘরে ছিল। বিয়ের স্বর্ণালংকার ছিলো ঘরে। সব নিয়ে আমার স্ত্রী পালিয়েছে ভাতিজার সাথে।

আক্ষেপ করে ওই প্রবাসী আরও বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে টাকা ইনকাম করি। বিদেশে টাকা ইনকাম সহজ নয়। আমার জমানো সব কষ্টের টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে সে পালিয়েছে। তাও আমার ভাতিজার সাথে। এই লজ্জা রাখি কোথায়।

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। একইভাবে বন্ধ পাওয়া যায় ভাতিজা ইমনের মুঠোফোন নম্বরও।

তদন্তকারী অফিসার কুলাউড়া থানার এএসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের কাছে নিখোঁজ জিডি আছে। এইটা নিয়ে কাজ করছি। তাদের অবস্থান জেনেছি। পাশের বাড়ির ভাতিজার সাথে পরকীয়া প্রেমের ইঙ্গিত পাচ্ছি।