ভয়ংকর লেজার অস্ত্র মোতায়েন করছে দক্ষিণ কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার ড্রোন হামলা ঠেকাতে প্রথমবারের মতো লেজার অস্ত্র মোতায়েন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেনাবাহিনীতে এই ধরনের অস্ত্র মোতায়েন ও পরিচালনায় বিশ্বের প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।

দেশটির অস্ত্র সংগ্রহ সংস্থা বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া তাদের এই লেজার অস্ত্র প্রকল্পটিকে ‘স্টার ওয়ার্স প্রোগ্রাম’ নামে অভিহিত করেছে। হলিউডের বিখ্যাত ‘স্টার ওয়ার্স’ সিনেমায় এ ধরনের অস্ত্র দেখা গিয়েছিল। এবার বাস্তব দুনিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ভয়ংকর এই অস্ত্র ব্যবহার করতে যাচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রশাসন (ডিএপিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী হেনহুয়া এরোস্পেস সংস্থায় সহায়তার ড্রোন বিধ্বংসী লেজার অস্ত্র তৈরি করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই অস্ত্রটি কার্যকর এবং তুলনামূলক সাশ্রয়ী। প্রতিবার লেজার আক্রমণে খরচ হবে মাত্র দুই হাজার ওয়ান ( ১ দশমিক ৪৫ ডলার। এই লেজারটি নীরব এবং অদৃশ্য।’

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ‘আমাদের দেশ লেজার অস্ত্র মোতায়েন ও পরিচালনার জন্য বিশ্বে প্রথম দেশ হয়ে উঠছে। উত্তর কোরিয়ার ড্রোন উসকানি যথাযথ ও কড়া জবাব দিতে এমনটি করা হচ্ছে।’ এই অস্ত্রগুলোকে ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে একটি গেম চেঞ্জার হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

ডিএপিএ’র একজন মুখপাত্র বলেন, ‘লেজার অস্ত্রগুলো ১০ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে আলোর রশ্মির মাধ্যমে ড্রোনের ইঞ্জিন বা অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়িয়ে উড়ন্ত ড্রোনকে ধ্বংস করবে।’

১৯৫০-৫৩ সালে শান্তি চুক্তির মধ্যে দিয়ে শেষ হয় কোরীয় যুদ্ধ। চুক্তিতে নিরস্ত্রীকরণসহ ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয় উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তবে দেশ দুটির মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় শান্তি চুক্তিটি ভেস্তে যেতে বসেছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়েই একে অপরের আকাশসীমায় ড্রোন পাঠিয়ে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করছে।