ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে ইকরাম এহমাদ নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রিদোয়ান আনসারী রিমোর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘাতক রায়হানকে গ্রেপ্তার করেছে। রায়হান মাদকসেবী বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
নিহত ইকরাম আহমেদ সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ক্লিনিক ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়ার ছেলে। তারা শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া টাউয়ারে বাস করলেও বাড়ি সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে। এছাড়া ইকরাম আহমেদ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন।
ঘাতক রায়হান ঢাকার মগবাজারের জিয়াউল হক জিয়ার ছেলে। ছাত্রলীগ নেতা রিমোর মামাতো ভাই রায়হান কয়েকদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অবস্থান করছিল।
ছাত্রলীগ, পুলিশ ও ইকরামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইকরাম আহমেদ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রিদওয়ান আনসারী রিমুর অনুসারী হিসাবে তার বাড়িতেই আড্ডা দিতেন, সময় কাটাতেন। সেখানে থাকতেন রিমুর মামাতো ভাই রায়হান (২০)। বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে ইকরাম ও রায়হানের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রায়হান তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে ইকরামের বুকের বাম পাশে আঘাত করে। এ সময় ইকরাম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে উপস্থিত বন্ধু-বান্ধব তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিপুলসংখ্যক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী জেলার সিনিয়র সহসভাপতি সুজন দত্ত, সহসভাপতি ওবায়দুল হক বাবু, রিয়াদ সরকার, যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ জাহিন রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মনজুরে মাওলা ফারানীর নেতৃত্বে জেলা সদরের প্রধান সড়ক সদর হাসপাতাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে তর্কের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ঘাতক রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।