বৈশ্বিক সংকটেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল আছে

বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার যখন এখানে বাণিজ্য মেলা হয় করোনার কারণে আসতে পারিনি।  ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলাম।  তবে ডিজাইন থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আমি ছিলাম।  এজন্য এখানে আসার আগ্রহ বেশি।

তিনি বলেন, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খাচ্ছে, তবুও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিবিসিআই’র সভাপতি জসিম উদ্দিন।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান।

এবার দেশি-বিদেশি মিলে মেলায় মোট ৩৫১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে।  গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মেলায় সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, ভারতসহ ১০টি বিদেশি রাষ্ট্রের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির বাস সার্ভিস থাকবে।  প্রথমে ৩০টি বাস থাকলেও পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।  ১০০টি পর্যন্ত বাস প্রস্তুত রাখা হবে।  এছাড়া বাণিজ্য মেলায় নির্বিঘ্নে যাওয়ার জন্য ৩০০ ফুট রাস্তা যাতায়াত উপযোগী করা হয়েছে।

মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।  তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।  এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।  মেলার টিকেট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকছে।  মেলায় প্রায় এক হাজারটি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটরিয়া রয়েছে।  একসঙ্গে ৫০০ লোক এখানে বসে খাবার খেতে পারবে।