সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি ফি বেশি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় মনিটরিং টিম গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪ জন উপ-সচিবের নেতৃত্বে পৃথক ৪টি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি, ভর্তি ফি, উন্নয়ন ফিসহ অন্যান্য ফি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে গ্রহণ করছে কিনা তা সরেজমিনে যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবে এসব কমিটি। সরকারের এই তদন্ত কমিটি গঠনকে ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে ক্যাব চট্টগ্রামের আর একটি বিজয় বলে অভিহিত করেছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।
বৃহষ্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। এ সময় অনিয়ম তদন্তে তাৎক্ষনিক তদন্ত কমিটি গঠন শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের সদিচ্ছার বহিঃঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদেরমধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি নিলয় বর্মন, সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিশকাত, সহ-অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুক, প্রচার সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম, সদস্য নাঈম মুহাম্মদ নিশান ও সালমান অভি প্রমুখ।
মতবিনিময় বক্তারা আরও বলেন, করোনার কারণে বিগত কয়েক বছর এই ভর্তি বাণিজ্য ও অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ থাকলেও আবার সেই পুরানো চেহারায় ফিরছে লোভী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষ গড়ার কারিগর। সে কারণে তাদের কাছ থেকে চাল-ডাল ও সবজি ব্যবসায়ীদের মতো আচরণ প্রত্যাশা করা হয় না।
বক্তারা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত, শিক্ষাকে অতিরিক্ত ব্যয়নির্ভর পণ্যে পরিণত না করতে এবং শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় অভিভাবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক নজরদারি প্রত্যাশা প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য, ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে মন্ত্রণালয়ের ৪ জন উপ-সচিবের নেতৃত্বে পৃথক ৪টি মনিটরিং কমিটি গঠন করা ছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত ঢাকা মহানগরীর ১৬টি মনিটরিং কমিটি, ৮টি বিভাগীয় মনিটরিং কমিটি, ৫৫টি জেলা মনিটরিং কমিটি জেলা সদরের এবং উপজেলা মনিটরিং কমিটি উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উল্লিখিত বিষয়ে সরেজমিনে মনিটরিং করে মাউশি অধিদপ্তরে রিপোর্ট দেওয়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে বিধি অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।