বৃষ্টি কাল হলো ইংল্যান্ডের, প্রথম জয়ের দেখা পেলো আয়ারল্যান্ড

বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দারুন চমক দিল আইরিশরা। বুধবার টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে দলটি। বৃষ্টিস্নাত মাঠে রান তাড়া সহজ হবে ভেবে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয়া ইংল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ড ১৯ ওভার ২ বলে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায়। দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ৮ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন স্টার্লিং। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে আয়ারল্যান্ড। ব্যাট করতে নামেন লিভিংস্টোন। টেকারকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় জুটিতে ৮২ রানের চমৎকার জুটি উপহার দেন বালবির্নি। ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কার মারে ৩৪ রান করেন টাকার। এরপর ২ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি হ্যারি টেক্টর।

তবুও উইকেটে থিতু ছিলেন আইরিশ অধিনায়ক। তিনি ভালো ইনিংস খেলে দিয়ে ফিরলে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে আইরিশরা। ফলে অধিনায়কের বিদায়ের পর দ্রুতই থেমে যায় আয়ারল্যান্ড। মাঠ ছাড়ার আগে ৪৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলেন আইরিশ অধিনায়ক।

এছাড়া কার্টিস ক্যাম্ফার ১৮, গ্যারেথ ডেলানি ১২* রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা। ডাক মেরেছেন তিনজন। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে তারা গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে জস বাটলারের দল। জোশ লিটলের দ্বিতীয় বলেই উইকেটকিপার টাকারের দস্তানায় ধরা পড়েন বাটলার। ইংল্যান্ড শূন্য রানে ১ উইকেট হারায়।

তৃতীয় ওভারে লিটলের বলে আডায়ারের হাতে ধরা পড়েন অ্যালেক্স হেলস। তার আগের বলেই পয়েন্টে ডেলানির হাত থেকে জীবনদান পেয়েছিলেন তিনি। ষষ্ঠ ওভারে বল করতে আসেন ফিয়ন হ্যান্ড। ওভারের প্রথম বলেই তিনি বোল্ড করেন বেন স্টোকসকে। ৬ রান করে মাঠ ছাড়েন স্টোকস।

পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৭ রান। এরপর দেখে শুনেে খলার চেষ্টা। ১০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৩ রান। ইংল্যান্ডের জিততে বাকি ১০ ওভারে প্রয়োজন ৯৫ রান।

১০.১ ওভারে ডকরেলের বলে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ছাড়েন আডায়ার। ৩ বার সুযোগ পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না হ্যারি ব্রুক। ১০.৬ ওভারে ডকরেলের বলে ডেলানির হাতে ধরা পড়েন হ্যারি ব্রুক। তিনি ২১ বলে ১৮ রান করে আউট হন। ইংল্যান্ড ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন মইন আলি। ১৩.১ ওভারে ম্যাককার্থির বলে মালানের ক্যাচ ধরেন হ্যান্ড। ৩৭ বলে ৩৫ রান করেন মালান। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর সেখান থেকে ১৪.৩ ওভারের খেলা সম্পন্ন হওয়ার পরে বৃষ্টিতে ম্যাচ থমকে যায়। ইংল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ১০৫ রান। বৃষ্টিতে শেষমেশ ম্যাচ ভেস্তে য়ায় এবং ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫ রানে ম্যাচ জিতে য়ায় আয়ারল্যান্ড।