বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীতে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার থেকে নগরীতে বিজিবি সদস্যরা নিজেদের টহল কার্যক্রম শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন বিসিসি নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেলের আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা সিকদার।
তিনি বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তায় ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি প্লাটুনে ২০ জন করে বিজিবি সদস্য রয়েছে। শনিবার থেকে ৪ দিন তারা নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। এসব টহল টিমের সঙ্গে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভোটকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে। সিসিক্যামেরা রয়েছে সর্বত্র, আমরা তার মাধ্যমে মনিটরিং করবো।
বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের নিরাপত্তায় ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।
বরিশাল নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী এবং ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৮ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।
এদিকে শনিবার (১০ জুন) রাত ১২টার মধ্যে বহিরাগতদের নগরী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া বহিরাগত কেউ থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নগরী জুড়ে সাড়ে ৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে সিসি টিভি কামেরা স্থাপনের কাজ শনিবারে শেষ করা হেয়েছে। নির্বাচনে ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এতে মোট ১ হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা থাকবে। আজ ( রোববার) ট্রায়াল দেওয়া হবে।