বিষাক্ত মদে অসুস্থ হচ্ছে সেবকরা!

নির্ধারিত সরকারি লাইসেন্সকৃত দোকানের মদ ছাড়া পরিচ্ছন্নতায় অনিহা

সেবকদের পরমপরায় মদ খেয়ে পরিচ্ছন্নতার প্রথাটি চালু রয়েছে যুগযুগ ধরেই। আবর্জনা, মলমূত্র পরিস্কার করতে তাদের খানিকটা মদ্য পান করতে হয়। যাতে করে মলমূত্রের গন্ধ তাদের নাকে না লাগে।

তবে কিছুদিন ধরেই বন্ধ ফিরিংগীবাজার এলাকার একমাত্র লাইসেন্সকৃত মদের দোকানটি। এ অবস্থায় সরকারি লাইসেন্সকৃত মদের দোকান বন্ধ পাওয়ায় সেবকরা বিভিন্ন বিষাক্ত মদ ও অন্যান্য নেশায় অসুস্থ হয়ে পরছেন।

আজ সোমবার নগরীর বান্ডেল রোড, ফিরিংগীবাজার, পাথর ঘাটা, ফিশারীঘাটসহ আশপাশের এলাকার শত শত সেবকরা ফিরিংগীবাজারাস্থ সরকারি লাইসেন্সকৃত মদের দোকান খুলে দিতে পায়ে হেঁটে মৌন প্রতিবাদ জানান। এরপর সকলে একযোেগ কোতোয়ালি থানা ও চট্টগ্রাম মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে একত্রিত হয়।

এ সময় সেবকদের সর্দারগণ উপস্থিত হয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মলমূত্র ও সমাজের আবর্জনা পরিস্কার করি। কি পরিমান দৈহিক শ্রম যায় সেটা অন্য কারো বোঝা সম্ভব নয়। মল মুত্রের গন্ধ নাকে না লাগার জন্য আমাদের মদ্য পান করতে হয়। তবে সরকারি মদের দোকান বন্ধ পাওয়া আমাদের অনেকেই বিষাক্ত মদ ও অন্যান্য নেশা করে অসুস্থ হয়ে পরছেন।

তারা জানান, সরকারি মদ ছাড়া এতো বেশি দাম দিয়ে অন্য মদ কেনা তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

তারা আরো বলেন, আমরা যে বেতন পাই তা দিয়ে কোনো ভাবে টানা-হিঁচড়ে সংসার চলে। এরমধ্যে আমরা দামি মদের টাকা বন্ধ কোথায় পাবো? আর তাই সরকারি মদের দোকান ছাড়া আমরা কোনো ভাবেই কাজ করতে পারবো না।

এ সময় চরম হতাশা নিয়ে তারা বলেন, আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই আমাদের কাজ করে থাকি। তবে আমাদের অনেক সেবকরা গন্ধ না লাগার জন্য নানা ধরণের অন্যান্য ঔষধ খেয়ে কাজ করতে গিয়ে বারংবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

মৌন প্রতিবাদ চলা কালে কোতোয়ালি থানা ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে আসস্থ করেন।