একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। জ্বরের কারণে এশিয়া কাপ খেলতে পারবেন না লিটন দাস। আজ সকালেই জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি। দুপুর হতে না হতেই জানা গেলো আরেক দুঃসংবাদ। বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেলেন পেসার এবাদত হোসেন। এমনিতেই এশিয়া কাপ খেলতে পারতেন না তিনি। এবার শেষ হয়ে গেলো বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাও।
বুধবার (৩০ আগস্ট) হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয়েছে ডানহাতি এই পেসারের। অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশের পূর্বে নিজের ফেসবুক পেজে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
ইনজুরি থেকে মুক্তি পেতে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুদিন আগেই লন্ডনে গিয়েছিলেন এবাদত। লক্ষ্য ছিলো তার আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার। কিন্তু হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানো লাগবে বিধায় লম্বা সময়ের জন্য ক্রিকেট থেকে ছিটকে গেলেন এবাদত।
অস্ত্রোপচারের পর এবাদতকে ৯ মাস থাকতে হবে বিশ্রামে। বাধ্যতামূলকভাবেই থাকতে হবে ২২ গজ থেকে দূরে। আর সে কারণেই অবধারিতভাবে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাটাও শেষ হয়ে গেলো ডানহাতি এই পেসারের।
যদিও প্রাথমিক অবস্থায় এবাদত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ত্রোপচার এখনই না করানোর। বিশ্বকাপ খেলে এরপর তিনি অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর আগ পর্যন্ত পুনর্বাসনের মাধ্যমে কমিয়ে আনতে চেয়েছিলেন ইনজুরির প্রকটতা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সেটি হয়ে ওঠেনি। বিশ্বকাপের আগেই তাকে যেতে হচ্ছে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে।
লন্ডনে গিয়ে পরীক্ষা করানোর পর সেখানকার চিকিৎসকেরা এবাদতকে পুরোপুরি সুস্থ্য করে তুলতে অস্ত্রোপচার ভিন্ন অন্য উপায় খুঁজে পায়নি। যে কারণে অনিচ্ছা স্বত্বেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে টাইগার এই পেসারের।
এদিকে এবাদতের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে। তারা নিশ্চিত করেছেন হাঁটুর অস্ত্রোপচারের জন্য কমপক্ষে ৩-৪ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে এবাদতকে। যার কারণে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলা হচ্ছে না তার।
আফগান সিরিজে যখন হাঁটুতে ইনজুরিতে পড়েছিলেন এবাদত, তখন ধারণা করা হয়েছিল তার এই চোট তেমন গুরুতর নয়। তখন বলা হয়েছিলো, পুনর্বাসন ও পরিচর্যা করেই তাকে খেলায় ফেরানো যাবে। তবে পরে এমআরআই করে দেখা গেছে, এবাদতের চোটাক্রান্ত বাঁ হাঁটুর এসিএল লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেটা ঠিক করতে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন।
এমএইচএফ