গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে হেলমেট বিভ্রাটে পড়ে যথাসময়ে ব্যাট করতে না পারায় ইতিহাসের প্রথম টাইমড আউট হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার হেলমেটের স্ট্রাইপ বাঁধতে গিয়ে ছিঁড়ে যায়। সেই হেলমেট বদলাতে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্ত সময় নেওয়ায় সাকিব তার বিরুদ্ধে টাইমড আউটের আবেদন জানালে সাড়া দেন আম্পায়ার। কোনো বল না খেলেই সাজঘরে ফিরতে হয় ম্যাথিউসকে।
সেই আউট নিয়ে বিতর্ক থামার আগেই আবারও ঘটল একই বিভ্রাট। আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইংল্যান্ড ইনিংসের ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আরিয়ান দত্তের বলে আউট হন মঈন আলী। তৃতীয় বল খেলতে নামেন ক্রিস ওকস।
কিন্তু মাঠে নেমেই যখন বুঝতে পারলেন তার হেলমেটে সমস্যা আছে ,একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্যে ক্রিস ওকস সোজা চলে গেলেন আম্পায়ার এহসান রাজার কাছে। খুলে বললেন নিজের সমস্যার বৃত্তান্ত।
আম্পায়ার এহসান রাজা সমস্যা অনুধাবন করতে পেরে হেলমেট বদলাতে সুযোগ দিলেন । তা মেনে নিয়ে নতুন হেলমেটও আনা হয় ওকসের জন্য। এসময় বেশ কিছুটা হাসাহাসিও করতে দেখা যায় ক্রিজে থাকা খেলোয়াড়দের। ম্যাথিউস ঘটনার পর ক্রিকেটাররা যে সময়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই সতর্ক হয়েছেন, তা বেশ ভালোভাবেই বোঝা গেল এদিন।
এমসিসির আইনের ৪০.১.১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ‘একজন ব্যাটারের আউট হয়ে যাওয়া বা রিটায়ার্ড হার্টের পর যে ব্যাটসম্যান আসবেন, তাকে অথবা অন্য ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের মধ্যে বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। অন্যথায় যে ব্যাটসম্যান নামছেন, তাকে আউট হতে হবে।’
অবশ্য বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে আছে, এক্ষেত্রে সময়টা ২ মিনিট। গত সোমবারের ম্যাচে ম্যাথিউস অতিক্রম করে গেছেন দুটিই। যার ফলে, বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে আউট দেন আম্পায়াররা। যদিও ম্যাথিউসের দাবি, তিনি অন্তত ৫ সেকেন্ড আগেই বল খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে এখনও বেশ উত্তপ্ত ক্রিকেট অঙ্গন।