তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরও আমাদের দলকে সংযত আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু দেশের কোথাও বিশৃঙ্খলা করলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ৫৭তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসের জারুলতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের সভা-সমাবেশের ওপর বারবার বিএনপি বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমরা যখন ক্ষমতায় বিএনপির সমাবেশে একটি পটকাও ফোটেনি। তারা যাতে সুন্দরভাবে সমাবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থাই সরকার সবসময় করেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বিএনপিকে কখনও দমন করার নীতি অবলম্বন করিনি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমাদেরকে কোনো সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুইপাশে কাঁটাতারের বেড়া থাকত। সেই বেড়ার বাইরে আমরা যেতে পারতাম না।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু পাঠদান ও ডিগ্রি দেয়া নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে জ্ঞানের চর্চা করা এবং সেই জ্ঞানের চর্চার সঙ্গে বিশ্বাঙ্গনের যোগ ঘটানো। ৫৭ বছরের পথ পরিক্রমায় আজকে ভাবতে হবে, জ্ঞানচর্চার সাথে বিশ্বাঙ্গনের সংযোগ কতটুকু করতে পেরেছে এ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আর কতটুকু করা প্রয়োজন।
তিনি একটি বার্ষিক ক্যালেন্ডার করে এখানে আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কোয়ালিটিপূর্ণ জার্নাল নিয়মিত প্রকাশ এবং সেই জার্নালে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে গবেষণালব্ধ আর্টিকেল ছাপানোর উদ্যোগ নেয়ারও প্রস্তাব দেন।
চবিতে সংস্কৃতিচর্চা আরও বাড়ানো প্রয়োজন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, চারুকলা ডিপার্টমেন্টকে একেবারে এই ক্যাম্পাস থেকে শহরে পাঠিয়ে দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
তিনি বলেন, যদি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চারুকলা না থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় বর্ণময় কীভাবে হবে। শিল্প-সংস্কৃতির অন্যতম একটি প্রধান অঙ্গ হচ্ছে চারুকলা। এই বিশ্ববিদ্যালয় আরও বর্ণময় হোক। জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চারও পাদপীঠ হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন। অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অবস্থান করা সোহরাওয়ার্দী হলে যান। সেখানে যে কক্ষে তিনি থাকতেন সেখানে অবস্থানরত বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান।