বিল বাকি থাকায় ধীর করে দেওয়া হলো ইন্টারনেটের গতি

বিল বকেয়া থাকায় দেশের ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টির ব্যান্ডউইথ ডাউন করে দিয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। ফলে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকরা অনেকে ধীর গতির ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন। ১৯টি আইআইজি’র কাছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি’র (বিএসসিপিএলসি) পাওনা ৩৮৪ কোটি টাকা। বকেয়া পরিশোধ না করায় বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যরাতের পরে বিএসসিপিএলসি আইআইজিগুলোর গড়ে ২৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ তথা ৬২৫ জিবিপিএস ডাউন (সীমিত) করে দেয়। আর এতেই ধীর গতির ইন্টারনেট সেবার পাচ্ছেন অনেক ব্যবহারকারী। প্রসঙ্গত, দেশের মোট ব্যবহৃত (৫১০০ জিবিপিএস) ব্যান্ডউইথের মধ্যে ২৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে বিএসসিপিএলসি। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল) ব্যাকআপ থাকায় ইন্টারনেটে সেবায় ধীরগতির প্রভাব খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না। ছুটির দিন হওয়াও একটা কারণ। ছুটির দিনে অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার কম হয়। শনিবারও (২৫ নভেম্বর) এই অবস্থা থাকবে। রবিবার মূল প্রভাবটা বোঝা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসসিপিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মির্জা কামাল আহমেদ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল) ব্যাকআপ থাকায় খুব একটা প্রভাব পড়ছে বলে আমাদের মনে হয় না। তিনি জানান, সরকারের নির্দেশে ব্যান্ডউইথ ডাউন করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এত টাকা বকেয়া রেখে ব্যান্ডউইথ সরবরাহে আমাদের কঠোর হতে বলা হয়। একটি আইআইজি বকেয়া আপডেট করায় তাদের সার্ভিস রিস্টোর করা (আগের অবস্থায়) হয়েছে। আমরা নেটওয়ার্কস নামের একটি আইআইজির কাছে ৬১ কোটি টাকা পাবো। দীর্ঘদিন বলার পরও তারা বকেয়া পরিশোধ না করায় তাদের ব্যান্ডউইথের বেশি অংশ ডাউন করা হয়েছে। আগামী রবিবারের মধ্যে আইআইজিগুলো বকেয়া পরিশোধ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে তিনি জানান। জানা যায়, আইআইজিদের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে গত ১৩ জুলাই বিএসসিপিএলসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৯ আগস্ট টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসিকে চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। তাতে জানানো হয়, বিভিন্ন অপারেটরের কাছে বিএসসিপিএলসির বকেয়ার পরিমাণ ৩৮৪ কোটি টাকা। আরও জানা গেছে, নিয়ম আছে এক মাসের বিল বিএসসিপিএলসিতে বকেয়া রাখা যাবে। বিএসসিপিএলসি যে হিসাব দিয়েছে তাতে করে দেখা যায় আইআইজিগুলোর প্রায় ৮ মাসের বিল বকেয়া রয়েছে।