বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জেলার বেলকুচি থানার শাস্তার মোড় এলাকায় এক নারীর এমন অভিযোগে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রহিমা খাতুন (৩০) নামের এক নারী অভিযোগ করেছেন, তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর অভিযুক্ত আঃ ওয়াদুদ (৪০) পালিয়ে গেছেন।

ভুক্তভোগী ঐ নারী জানান, প্রায় তিন মাস ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তি তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাকে এবং তার ১৩ বছরের সন্তানকে ভরণ-পোষণ করার আশ্বাস দেন। রহিমার স্বামীর সাথে প্রায় আট বছর আগে ছারাছারি হয় , ফলে তিনি তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। এই সুযোগে অভিযুক্ত ওয়াদুদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন।

গত ১৭ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে বেলকুচি চর শাস্তার মোড়ে এক মাহফিল চলাকালীন অভিযুক্ত ওয়াদুদ রহিমার ঘরে প্রবেশ করেন তার সাথে।এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলে। অভিযুক্ত ওয়াদুদ এর বাবা ভাই এসে তাকে নিয়ে জায় তখন রহিমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং মৌখিক স্বীকারোক্তি প্রদান করে বলে জানা যায়।

পরদিন ১৮ জানুয়ারি সকালে তাদের গ্রামের অভিজ্ঞ সচেতন মহলে জানাজানি হয় সালিশের কথা থাকলেও তাদের কোন খোজ ছিলো না, ওয়াদুদ কৌশলে পালিয়ে যান। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রহিমা খাতুন জানান, “অভিযুক্তের পালিয়ে যাওয়ার পর আমি এবং আমার সন্তান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার সন্তানের কোনো ক্ষতি হতে পারে বলেও আমি আশঙ্কা করছি।”
অভিযুক্ত বিষয়ে ২৯ জানুয়ারি রহিমার মুঠোফোন কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন আমি এখুন পর্যন্ত কোন বিচার পায়নি, আমি থানায় গিয়ে তার নামে অভিযোগ দিয়েছি, আমি আমার মানের সঠিক বিচার চাই আমার যে মান নষ্ট হয়েছে আমি আমার সম্মান ফিরে পেতে চাই,টাকা দিয়ে তারা মীমাংসার জন্য অনেক চেষ্টা করছে। আমি টাকা চাই না আমি আমার সম্মান ফিরে পেতে চাই।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, “ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত অভিযুক্তের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন। বেলকুচির এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।