বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর শুরু হচ্ছে শুক্রবার। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এ টি-২০ ক্রিকেট লিগে এবার অংশ নেবে মোট সাতটি দল। বুধবার বিপিএলের দশম আসরের ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে, যাতে ছয় দলের অধিনায়ক ও এক দলের সহ-অধিনায়ক অংশ নেন। আসরের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ইস্পাহানির নামও ঘোষণা করা হয়েছে। এবার বিপিএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, দুর্দান্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স, রংপুর রাইডার্স, ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং নতুন নামকরণ হওয়া দুর্দান্ত ঢাকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে বিপিএল। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। দিনের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। দু’টি ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এবারের মৌসুমে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে মাঠ মাতাবেন পেসার শরিফুল ইসলাম। বিপিএল নিয়ে তিনি বলেন, কোন সন্দেহ নেই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিপিএল অনেক সাহায্য করবে। এটা আমাদের প্রধান টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো পারফর্ম করে সবার নজর কাড়তে চাই। আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে আমাদের সহায়তা করবে। শুক্রবার বাদে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের প্রথম ম্যাচ দুপুর দেড়টায় এবং দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে। শুক্রবারের প্রথম ম্যাচ দুপুর দুইটায় এবং দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে। ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং সিলেটের সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪৩ দিনে মোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিপিএলে নতুন দল না হলেও এবার নতুন মালিকানার অধীনে খেলবে ঢাকা।ঢাকার কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, যখন কেউ দল গড়ে তখন ঐ দলের লক্ষ্য থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু বাস্তবে আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। কখনও-কখনও চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন হয়। টুর্নামেন্টের উন্মাদনা যেমনটা হওয়া উচিত, সেটি প্রত্যাশিতভাবে হয়নি। তবে বিসিবি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, টুর্নামেন্ট শুরু হলে তা সবার মধ্যে সাড়া ফেলবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচন থাকায়, সবাই সেখানে ব্যস্ত ছিল। এজন্য আমরা উন্মাদনা তৈরিতে খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। তবে টুর্নামেন্টটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে আমরা সকল কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছি। মাঠের লড়াই শুরু হলে, এমনিতেই উন্মাদনার সৃষ্টি হবে। আগের মতো নয়, এবার টুর্নামেন্টটিকে ভালোভাবে সাজানোর অঙ্গীকার করেছিলো বিসিবি। বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক বলেছেন, বিশেষভাবে মিরপুরের উইকেট এমনভাবে প্রস্তুত করা হবে যেন হাই-স্কোরিং ম্যাচ হয়। তবে মিরপুরের উইকেট সবসময়ই ধীরগতির এবং নীচু হয়ে থাকে। আগেরবারের চেয়ে ধারাভাষ্যকে মনোমুগ্ধকর করতে পাকিস্তানের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজাকে এনেছে আয়োজকরা। তারই স্বদেশী আমির সোহেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিংবদন্তি কোর্টলি অ্যামব্রোস, শ্রীলংকার রাসেল আরনল্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এইচডি অ্যাকারম্যানের সাথে ধারাভাষ্যে থাকবেন সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান রাজাও। তাদের সাথে স্থানীয় ধারাভাষ্যকাররাও থাকবেন। এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ডিআরএস সিস্টেম কার্যকর থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। বিপিএলের ম্যাচ টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য থাকছে ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০০ টাকা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিট ২০০ টাকায়, উত্তর/দক্ষিণ স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ৪০০ টাকা, ক্লাব হাউস ৮০০ টাকা, ভিআইপি স্ট্যান্ড ১৫০০ টাকা এবং গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ২৫০০ টাকায় কেনা যাবে। ম্যাচের দিন এবং আগের দিন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম এবং মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১নং গেট সংলগ্ন টিকিট বিক্রির কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাবে।