আমরাও ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে আসছি। আগামীতে ভুটান থেকে ভারতের ওপর দিয়ে জলবিদ্যুৎ আসবে। আর ঢাকা-কলকাতা রুটে ট্রেন চলছে বহু বছর ধরে। একইভাবে নৌপথে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে ভারত। ভারতকে ট্রানজিট দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হচ্ছে, এটা সঠিক নয়। আসলে
তারা (বিএনপি) সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মানে বোঝে না। কথাগুলো বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল শুক্রবার বিকালে সৈয়দপুর শহরের ড্রিম প্লাস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের হলরুমে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মো. শাহাজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএম আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আর এখন সরকার পতনের কথা বলে না। তারা এখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলে। তারা এখন তারেক ভীতির শঙ্কায় ভুগছে। বিএনপির মহাসচিবও সেই শঙ্কার মধ্যে আছেন। বিএনপি-জামায়াতসহ সব অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৮১টি দেশ ও ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মী। আর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত ও দলকে ঐক্যবদ্ধ করতেই আজকে দলের রংপুর বিভাগীয় এই বর্ধিতসভা। প্রতিটি কাজে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে এগিয়ে নিতে হবে- এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্তা। আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না, আমরা রাজনীতি করি জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশের যে কোনো দুর্যোগে জনগণের কাছে ছুটে গেছেন। তাই দলে নিজেদের মধ্যে সব বিভেদ, দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।