প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৪ বছরে শিক্ষাখাতের আমূল পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে। দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, বিএনপি-জামায়াত তা চায়নি। মানুষকে অবদমিত করে ক্ষমতা দখলই বিএনপির লক্ষ্য। ২০০৮ সালের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি।
রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এখন পর্যন্ত শিক্ষায় সর্বোচ্চ ২১ দশমিক এক ছয় শতাংশ বরাদ্দ করে নজির স্থাপন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয় বলে চলতি অর্থবছরেও বরাদ্দ রেখেছে ৮৮ হাজার কোটি টাকার বেশি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার মান ও সব প্রতিষ্ঠান উন্নত করতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসময় তিনি বলেন দেশের মানুষের জন্য কর্তব্যবোধ থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন বলেন, আমাকে যখন বন্দিখানায় নেয়ে যাওয়া হয়, তখন আমি সময়টা হেলায় নষ্ট না করে সেখানে বসে দেশের ভাগ্য উন্নয়নের চিন্তা করেছি। সেজন্য শিক্ষা, চিকিৎসা ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কীভাবে কাজ করা যায়, তার জন্য রূপকল্প তৈরি করেছি। দেশকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, তার চিন্তা সবসময় আমার মাথায় ঘুরপাক খেত। আর সেই রূপকল্পই আজ ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন হয়েছে
তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হবে। শর্ত ছিল আমি নির্বাচন করতে পারব না। আমি বলেছি একটা এসি রুম আর এসি গাড়ি, এসবের আমার প্রয়োজন নেই। কারণ আমার বাবা এ দেশের মন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আমিও এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। সুতরাং আমার মধ্যে নিজের ভগ্য উন্নয়নের কোনো লোভ নেই। আমি এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। আজ আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে।
এরআগে অনুষ্ঠানে চারটি বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী অস্বচ্ছল ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বৃত্তির চেক তুলে দেন সরকারপ্রধান।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২২৫৭টি কলেজের অধ্যক্ষরা অংশ নিয়েছেন।
এমএইচএফ