নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি জানি না এটা কেমন অবরোধ! আমার ঢাকা থেকে আসতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লেগেছে। এটাকে আমার অবরোধ মনে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা নারায়ণগঞ্জে কোনো ঝামেলা করি নাই। তারপরও আমরা দেখতে পারছি মানুষের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীকে বলতে চাই এটা কোন বাংলাদেশ! এমন দেশতো আমরা চাই না। ২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে আমাদের একজন পুলিশকে হত্যা করা হলো। নারীদের উপর হামলা করা হলো। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামীলীগের নেতাদের উপর হামলা করা হচ্ছে। সাংবাদিক তো কোনো দলের লোকজন না তাদের উপরও নির্মম হামলা করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের উপর যে বর্বর হামলা করা হলো তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। যারা মিথ্যা আশা দিয়ে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের দিয়ে ধ্বংসাত্মক কাজ করাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ অনেক নেতা গোপনে চেষ্টা করছেন দল বদলানোর।
আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড অংশ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেভাবে মানুষের জানপ্রাণ রক্ষার জন্য কাজ করছেন সেজন্য আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যে কারোই অবরোধ কর্মসূচি পালন করার অধিকার আছে। মানুষ ইচ্ছা করলে গাড়ি চালাবে না। আবার জোর করে গাড়ি বন্ধ করে দেওয়াও উচিত না।
শামীম ওসমান বলেন, যারা লন্ডন থেকে বসে ষড়যন্ত্র করছে তারা কিছুই করতে পারবে না। তাদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন না এমন একটা সরকার আনা যনো দেশটা অন্য কারো হাতে চলে যায়। দেশে নির্বাচনও হবে আর আওয়ামী লীগই জিতবে। যারা বিএনপি করে তারা তো আমাদেরই সন্তান। তাদের যখন কিছু হবে তখন কিন্তু বিএনপির কেউ দায় নিবে না। আমরা চাই না মানুষের জানমালে আঘাত আসুক।
প্রভাবশালী এ সাংসদ আরও বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সচিব রিজভীর মতো নেতা ৭-৮ জন লোক নিয়ে নারায়ণগঞ্জে অগ্নিসংয়োগ করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাই যদি এমন করেন তাহলে বুঝতে হবে রাজনীতি কোথায় গেছে। তাদের এখন জনগণ মানে না। তাদের ধ্বংসাত্মক কাজ কখনো স্বাধীনতার শক্তির সঙ্গে পারবে না। তারা পশুর চেয়ে অধম হয়ে গেছে। তা না হলে মৃত মানুষকে এভাবে কিভাবে মারে। যারা আগুন নিয়ে খেলছেন মানুষের এমন অভিশাপ নিবেন না। এভাবে রাজনীতি হয় না।