আহসানুল হাবীব সোহাগ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: :নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘ বিএনপি-জামায়াতকে শামীম ওসমান ঠ্যাঙ্গা দিয়াও গোনে না। আমি ভয় পাই মোশতাকদের। বাংলাদেশকে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক বানানোর জন্য বেঈমান শকুনরা ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি-জামায়াতের ১০ হাজার কর্মীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী যথেষ্ট।’
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কের উপর আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে আমাদের ভেতরও কিছু মোশতাক আছে। যারা মনে করছে আমাদের ভয় দেখাবে তাদের উদ্দেশে বলি, আমরা ঢাকায় গিলে খেলবো। জাতির পিতা বা জাতির পিতার কন্যাকে নিয়ে কেউ অশ্লীল স্লোগান দিলে কাউকে ছেড়ে দিবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে ৫০টা মানুষের লাশ দাফন করেছি। আমাদের উপর বোমা হামলা হয়েছিল। অপরাধ ছিল, নারায়ণগঞ্জে গোলাম আজমদের প্রবেশ নিষেধ করেছিলাম। আর এই নারায়ণগঞ্জে অনেকে আওয়ামী লীগ সাজতে চান। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে আসেন না। আমি ডাকলেও আসেন না।বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলতে কেন জানি তাদের সমস্যা হয়। সামনে কী হবে, আওয়ামী লীগ আসবে নাকি অন্য কেউ আসবে, তা নিয়ে কনফিউজড আছেন।’
এমপি বলেন, ‘আমাদের সম্পদ শেখ হাসিনা। যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের সাথে গণতন্ত্র চর্চা করবো না। নারায়ণগঞ্জের মানুষ সবসময় অ্যাডভান্স থাকে। আমরা ৫২ থেকে ৬৯ এর নেতৃত্ব দিয়েছি। আগামী দিনের নেতৃত্বও এই নারায়ণগঞ্জের মানুষ দিবে। অক্টোবর নাগাদ ওরা আবার মানচিত্রে থাবা দিবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কের উপর অস্থায়ী মঞ্চ করে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে এই সমাবেশ। পুরো সময়টাতে শহরের প্রধান এই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তির শিকার হন নগরবাসী। সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীরা সড়ক ছাড়লে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরে শহর।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য। সারা পোশাকেও ছিল গোয়েন্দা নজরদারি।