আগামীতে বিএনপি-জামায়াতকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, এরা বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করে দেবে। কাজেই বিএনপি-জামায়াত যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে।
রোববার (০৭ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনের হোটেল ম্যারিয়টে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকায় আগামী সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করে দেবে। কাজেই বিএনপি-জামায়াত যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। সকলকে (আ.লীগের নেতাকর্মীরা) আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করতে হবে, কারণ আমরা ভোটে জিততে পারি।
তিনি বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগই ভোটে জিতবে। জনগণের কাজ করে, জনগণের পাশে থেকে জনগণের ভোটে ইনশাল্লাহ আবার দেশের সেবা করতে পারব আমরা। সেভাবে সবাইকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগুতে হবে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির ওপর জনগণ আস্থা রাখবে না মনে করেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে, দেশের সর্বনাশ করে, জনগণ কিভাবে তাদের ওপর আস্থা রাখবে? কেন বিশ্বাস রাখবে? জনগণ তো জানে এরা ভোট চোর, এরা দুর্নীতিবাজ, এরা খুনী, এরা গ্রেনেড হামলাকারী, লুটপাটকারী, এরা খুনীদের মদতকারী, দেশের অর্থ চোরাকারবারী।
তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের ভোট চোর বলার সাহস পায় কোথায়? ভোট চোরের বাচ্চা ভোট চোর বলে কিভাবে? তারেকের বাপ ভোট চোর, তারেকের মা ভোট চোর। সেখানে বিএনপির লোকজন কীভাবে ভোট চোর বলে আমাদের? এত দুঃসাহস কই থেকে পায়!
বিএনপি নেতাদের ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা স্মরণ করি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতাদের একটু জিজ্ঞেস করি, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কয়টা পার্টি অংশগ্রহণ করেছিল আর কত ভোট পড়েছিল। সারা দেশে সেনা বাহিনী মোতায়েন করে জনগণের ভোট চুরি করে, ২ থেকে ৩ শতাংশের বেশি ভোটই পড়েনি। তারা ঘোষণা দিয়ে দিলে যে (খালেদা জিয়া) নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।
দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা স্লোগান দিয়ে দিয়ে জনগণকে সচেতন করেছি। যে আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। যখন দেশের মানুষ দেখলো খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছে, খালেদা জিয়া কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারো কিছু বলার নেই। সেই নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল? বিএনপির ২০ দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছিল? ২০ দলীয় জোট সেই নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং একটি উপনির্বাচনে ১টি, মোট ৩০টি আসন। আর বাকি আসন ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের। আমরা সব পেয়েছি। জনগণের কাছে তাদের (বিএনপি-জামায়াত) অবস্থান কী যে তারা এত লাফালাফি করে?