বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের নতুন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ আগামী শুক্রবার সকাল ছয়টায় শেষ হবে।
বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২–দলীয় জোট, এলডিপিসহ অন্যান্য দল ও জোটও যুগপৎভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। জামায়াতে ইসলামীও পৃথকভাবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ দিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মহাসড়কে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি গণদাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা নিছক বিএনপির কোনো দলীয় কর্মসূচি নয়।”
রিজভী বলেন, “জনগণ তার মালিকানা বঞ্চিত হয়ে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন যত রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের ঋণ পরিশোধ করার জন্য বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো এই সংগ্রাম করছে। নানা রকমের রাষ্ট্রীয় উৎপীড়নের মুখেও তাঁরা মাঠে আছেন। প্রত্যেকের কাছে আকুল আহ্বান, শত বাধা অতিক্রম করে যেমন কর্মসূচি পালন করে এসেছেন, আবার এই কর্মসূচি পালন করবেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথে পথে বাধা দেবেন, মহাসড়কে অবরোধ তৈরি করবেন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেই।”
সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার নানা মহাপরিকল্পনা তারা করছে। আমরা রাস্তায় উপস্থিত হব এবং সরকারের অশুভ নীলনকশা আমরা প্রতিহত করব। এ দেশে যারা গণতন্ত্র চায়, যারা বাক্স্বাধীনতা চায়, যারা নিজের ভোটটা পছন্দমতো ব্যক্তিকে দিতে চায়, তারা এই আন্দোলনের অবরোধ কর্মসূচির পক্ষে রয়েছে।”
হামলা ও সংঘর্ষের মধ্যে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ডের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি। এরপর দলের মহাসচিবসহ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দুই দফায় পাঁচ দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। আজ তৃতীয় দফায় আবার দুই দিনের অবরোধ শুরু হলো।