বিএনপির যেকোনো অপরাজনীতিকে রাজপথেই প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ১/১‘র স্বপ্ন যারা দেখে, তারা একটা খেলা খেলছে। মুখে বলছে মানবতা আর গণতন্ত্রের কথা। বিএনপি যখনই সমাবেশ করে, তার আগের দিন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মিটিং করে। কেন মিটিং করতে হয়? কারণ তারা বিদেশিদের দিয়ে খেলছে। কিন্তু এই খেলা জনগণ খেলতে দেবে না।
তিনি বলেন, অতীতে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াতকে পরাস্ত করেছিল। ভবিষ্যতেও তারা নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেবে।
তিনি আরও বলেন, আজ যখন জাতি আশা করছে আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। ঠিক তখনই নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তি ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বিকেল সোয়া ৩টায় কোরআন তেলাওয়াত, পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তির সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।
সমাবেশে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকে রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন ইউনিট এবং দেশের বিভিন্ন জেলা শাখা থেকে তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অবস্থান নেন। তবে, বৃষ্টিতে সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা কিছুটা বেকায়দায় পড়েন। কেউ কেউ আশপাশের ভবনে আশ্রয় নেন। অনেকে ভিজেই স্পটে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এমএইচএফ