বরিশালে অবরোধের পক্ষে মিছিলের প্রস্তুতিকালে সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে বিএনপির দাবি- আটক করা হয়েছে ১৭ নেতা-কর্মীকে।
বুধবার সকালে তাদের আটক করা হয় বলে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।
পুলিশ যাদের আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বরিশাল-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুল, নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শামসুল আলম মন্টু, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব হানিফ হাওলাদার, দ্বীন ইসলাম ইকো, একেএম মুসা কাজল, রেজাউর রহমান কিরন, সাকলাইন মোস্তফা।
মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহিদুর রহমান রিপন জানান, পুলিশের দেয়া তালিকার ১০ জন ছাড়াও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আনিসুর রহমান, এঞ্জেল, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফেরদৌস, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাহমুদ বাবলু, মহানগর শ্রমিক দল সদস্য মো. আসলাম, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব শেখ সাব্বির ও চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের নেতা কাজী মোহাম্মদ ফিরোজকে আটক করেছে পুলিশ।
এছাড়া মঙ্গলবার রাতে শ্রমিকদল নেতা মোহাম্মদ টিয়াকে ও পুলিশ আটক করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নেতৃবৃন্দের আটকের প্রতিবাদে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনির নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা নগরীর বান্দ রোডে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ করেছে।
ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আটক বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হবে।