২০০০ সালে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক রূপ পাওয়া শাহ আমানত বিমানবন্দরের সক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ বছর। অথচ ৪ বছর আগেই সক্ষমতা হারিয়ে আসা এই বিমানবন্দর ২০২৩ সালেই ১৬ লাখ ১০ হাজার ৪২৮ জন যাত্রী বহন করে রেকর্ড গড়ে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪২৮ জন এবং আন্তর্জাতিক রুটের ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪ জন।
এবার শাহ আমানত বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের গড়ে তোলার জন্য তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। ২০৪০ সালের মধ্যে বছরে ৫০ লাখ ও ২০৭০ সালের মধ্যে ১ কোটি যাত্রী বহনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। জার্মানির প্রতিষ্ঠান দিয়ে চলছে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের সমীক্ষা জরিপ।
বিমানবন্দরটির সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে যে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরটি রয়েছে, সেটির রানওয়ে সক্ষমতা যদি বাড়ানো হয় তাহলে বড় বড় কার্গো বিমান সেখানে যেকোনো সময়ে কার্গো নিয়ে ওঠানামা করতে পারবে।’
অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করেছে সরকার। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, তিনটি পর্যায়ে চলবে বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের গড়ে তোলার কার্যক্রম।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ বলেন, আমাদের আশপাশে এরইমধ্যে কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের থার্ড টার্মিনালও উদ্বোধন হয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়েছে। এর জন্যই মূলত আমরা এই মাস্টারপ্ল্যানটি করছি।