বগুড়ায় তৃতীয় দফার অবরোধের প্রথমদিন জামায়াতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ককটেল ও ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করেছে। এতে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে জামায়াত। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে জেলা সদরের দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের সাবগ্রাম ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বাঘোপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বুধবার সকাল ৭টার দিকে শহর জামায়াতের আমির আবিদুর রহমান সোহেল জামায়াত-শিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীসহ মিছিল নিয়ে সাবগ্রাম এলাকায় দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাদের চলে যেতে বললে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল হামলা চালায়। তখন পুলিশ ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এখানে জামায়াত-শিবিরের ছয় নেতা আহত হওয়ার দাবি করা হয়। একই সময় জামায়াত নেতা আলী আজগরের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা হতে নেতাকর্মীরা সদরের বাঘোপাড়া এলাকায় মিছিল নিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ এলে দুই পক্ষের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ককটেল হামলা করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সেখানে জামায়াতের আরও চার নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করা হয়। বগুড়া শহর জামায়াতের আমির আবিদুর রহমান সোহেল দাবি করেন, সাবগ্রাম ও বাঘোপাড়া এলাকায় পুলিশের গুলিতে তাদের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার দাবি করেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কয়েকটি টিয়ারশেল ছুড়ে ও শর্টগান দিয়ে দুই রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও করেন, অবরোধকারীদের কেউ আহত হলে সেটা নিজেদের ককটেলের আঘাতে হয়েছে। এদিকে, বুধবার সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্ব বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের লিচুতলা মোড়ে অবরোধ করেন। কাছে পুলিশ থাকলেও এখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।